কেসিএনএর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণব্যবস্থার নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করেছে এ পরীক্ষা। একই সঙ্গে তা সাবমেরিন ইউনিটের আক্রমণ–সক্ষমতা যাচাই করেছে।
উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বলে জানান দেশটির জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ। তিনি বলেন, এ বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করছেন।
দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী আজ থেকে ১১ দিনের যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করছে। এ মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফ্রিডম শিল্ড ২৩’। এ মহড়া নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছে পিয়ংইয়ং। তাই মহড়া শুরুর প্রাক্কালে পিয়ংইয়ং জোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে শক্তি প্রদর্শন করল।
গত বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়া একটি স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে। এ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের কয়েক ঘণ্টা পর উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন দেশটির সেনাবাহিনীর একটি ইউনিটের সামরিক প্রদর্শনী দেখেন।
পারমাণবিক শক্তিধর উত্তর কোরিয়া একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। গত বছর দেশটির নেতা কিম জং-উন তাঁর দেশের অস্ত্রভান্ডার আরও সমৃদ্ধ করার ঘোষণা দেন। এর মধ্যে কৌশলগত পরমাণু অস্ত্রও রয়েছে।
উত্তর কোরিয়া দাবি করে আসছে, তার পরমাণু অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি শুধু আত্মরক্ষার জন্য।