গাঁজা পাচার: সিঙ্গাপুরে এক ব্যক্তির ফাঁসি কার্যকর

তাঙ্গারাজু সুপিয়া
ছবি: রিচার্ড ব্র্যানসনের টুইটার থেকে নেওয়া

এক কেজির কিছু বেশি গাঁজা পাচারের ষড়যন্ত্রের দায়ে দোষী সাব্যস্ত এক ব্যক্তির ফাঁসির সাজা আজ বুধবার ভোরে কার্যকর করেছে সিঙ্গাপুর। দেশটির কর্তৃপক্ষ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া ব্যক্তির নাম তাঙ্গারাজু সুপিয়া (৪৬)। সিঙ্গাপুরের কারা কর্তৃপক্ষের এক মুখপাত্র বলেন, দেশটির নাগরিক তাঙ্গারাজুর মৃত্যুদণ্ড চাঙ্গি কারাগারে কার্যকর করা হয়।

তাঙ্গারাজুর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর না করতে নগররাষ্ট্রটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। কিন্তু তারা এই আহ্বান উপেক্ষা করে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল।

সিঙ্গাপুরের জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় তাঙ্গারাজুর ফাঁসির সাজা জরুরি ভিত্তিতে পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছিল। ব্রিটিশ ধনকুবের রিচার্ড ব্র্যানসন এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর স্থগিতের আহ্বান জানিয়েছিলেন।

১ হাজার ১৭ দশমিক ৯ গ্রাম গাঁজা পাচারের ষড়যন্ত্রে জড়িত অভিযোগে ২০১৭ সালে তাঙ্গারাজুকে দোষী সাব্যস্ত করেন সিঙ্গাপুরের আদালত। ২০১৮ সালে তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়। পরে আপিল আদালত এই সাজা বহাল রাখেন।

তাঙ্গারাজুর পরিবার ক্ষমা প্রার্থনা করেছিল। পাশাপাশি তারা নতুন করে বিচারের দাবি জানিয়েছিল। জেনেভাভিত্তিক গ্লোবাল কমিশন অন ড্রাগ পলিসির সদস্য ব্র্যানসন গত সোমবার তাঁর ব্লগে তাঙ্গারাজুর প্রসঙ্গে লিখেছিলেন, সিঙ্গাপুর একজন নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করতে পারে।

সিঙ্গাপুরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল মঙ্গলবার এক প্রতিক্রিয়ায় বলে, তাঙ্গারাজুর অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

দুই বছরের বেশি সময়ের বিরতির পর ২০২২ সালের মার্চ থেকে আবার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর শুরু করে সিঙ্গাপুর। গত এক বছরে দেশটিতে ১২ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সিঙ্গাপুরে বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন মাদকবিরোধী আইন রয়েছে। মাদকসংক্রান্ত অপরাধ প্রতিরোধের জন্য এমন কঠোর আইন প্রয়োজন বলে যুক্তি দিয়ে থাকে দেশটি। অধিকারকর্মীদের ভাষ্য, দুর্বল প্রমাণের ভিত্তিতে তাঙ্গারাজু দোষী সাব্যস্ত হন। বিচার চলাকালে তিনি পর্যাপ্ত আইনি সুবিধা পাননি।