সেন্টার ফর এয়ার পাওয়ার স্টাডিজের মহাপরিচালক এয়ার মার্শাল (অব.) অনিল চোপড়া বলেন, ভারতের সামরিক বাহিনী অনেক বড়। অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম আরও কয়েক বছর চলবে। আর অস্ত্রের আমদানি কমে যাওয়া ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। দেশের সামরিক খাত সফল হলে আমদানি আরও কমবে।

৪০%
বরাবরের মতো অস্ত্র রপ্তানিতে সবার ওপরে আছে যুক্তরাষ্ট্র। সর্বোচ্চ ৪০ দেশটি মোট রপ্তানি করে দেশটি

এসআইপিআরআই এর প্রতিবেদন বলছে, গত পাঁচ বছরে অস্ত্র রপ্তানিতে শীর্ষ দেশ যুক্তরাষ্ট্র (৪০ শতাংশ)। এর পরে রয়েছে রাশিয়া (১৬ শতাংশ), ফ্রান্স (১১ শতাংশ), চীন (৫ শতাংশ) ও জার্মানি (৪ শতাংশ)।

প্রতিবেদন মতে ২০২২ সালে ইউরোপে অস্ত্র আমদানি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশটিতে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের সমাবেশ ঘটায় এই উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে।

যা ইউক্রেনকে বিশ্বের তৃতীয় অস্ত্র সমাবেশের দেশে পরিণত করেছে। ইউরোপে আগের (২০২১) বছরের চেয়ে গত বছর অস্ত্র আমদানি প্রায় ৯৩ শতাংশ বেড়েছে। পোল্যান্ড ও নরওয়েসহ ইউরোপের দেশগুলো অস্ত্র আমদানি বাড়িয়ে দেওয়ায় এ মহাদেশে অস্ত্র আমদানি এই পর্যায়ে পৌঁছেছে। ইউরোপে অস্ত্র আমদানির হার আরও বাড়তে পারে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ইউরোপে যত অস্ত্র এসেছে, তার ৩১ শতাংশই পৌঁছেছে ইউক্রেনে। পুরো বিশ্বের কথা বিবেচনা করলে এটা হয় ৮ শতাংশ।

ইউক্রেনে সমাবেশ ঘটা অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ২৩০ আর্টিলারি সরঞ্জাম, ২৮০ পোলিশ সাঁজোয়া যান এবং যুক্তরাজ্যের ৭ হাজারেরও বেশি ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ও নতুন তৈরি বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা।
এসআইপিআরআইয়ের জ্যেষ্ঠ গবেষক পিটার ওয়েজম্যান বলেন, রাশিয়ার ইউক্রেন অভিযানের কারণে ইউরোপের দেশগুলোতে অস্ত্রের আমদানি বেড়েছে। সামনে এটা আরও বাড়তে পারে।
সূত্র: এএফপি ও হিন্দুস্তান টাইমস।