বিমানবন্দরে এগিয়ে না দেওয়ায় প্রেমিকের বিরুদ্ধে মামলা
বন্ধুরা মিলে একটি সংগীতানুষ্ঠানে যাবেন। অনুষ্ঠানস্থলে যেতে হবে উড়োজাহাজে করে। তাঁকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এগিয়ে দেওয়ার কথা ছিল প্রেমিকের। কিন্ত প্রেমিক কথা দিয়ে তা রাখেননি। এতে করে যথাসময়ে বিমানবন্দরে যেতে পারেননি প্রেমিকা। ফ্লাইট ধরতেও হয়েছেন ব্যর্থ। এ ঘটনার পর ক্ষুব্ধ প্রেমিকা তাঁর প্রেমিকের নামে মামলা ঠুকে দিয়েছেন। সম্প্রতি এমন ঘটনা ঘটেছে নিউজিল্যান্ডে।
সেই নারীর অভিযোগ, বিমানবন্দরে পৌঁছে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তাঁর প্রেমিক। কিন্ত তাঁর প্রেমিক সেই ‘মৌখিক প্রতিশ্রতি’ ভঙ্গ করেছেন। এ কারণে তিনি প্রেমিকের নামে মামলা করেন।
আদালতে দাখিল করা নথি অনুযায়ী, অভিযোগপত্রে নিজের বা প্রেমিকের নাম-পরিচয় দেননি ওই নারী। তিনি অভিযোগ করেছেন, সেদিন সকাল ১০টা থেকে সোয়া ১০টার মধ্যে তাঁকে বিমানবন্দরে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল তাঁর প্রেমিকের। এ জন্য তিনি বাসায় অপেক্ষা করছিলেন। কিন্ত শেষ পর্যন্ত প্রেমিককে না পেয়ে একা বিমাবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেন। কিন্ত গিয়ে দেখেন, তাঁর ফ্লাইট ইতিমধ্যে ছেড়ে গেছে।
প্রেমিকের বিরুদ্ধে ওই প্রেমিকা অভিযোগটি করেছেন নিউজিল্যান্ডের ডিসপিউট ট্রাইব্যুনালে। দেশটির আইন অনুযায়ী, এই ট্রাইব্যুনালে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার ডলারের মামলা পরিচালনার এখতিয়ার রয়েছে। প্রেমিকার অভিযোগ, ফ্লাইট ধরতে না পারায় তাঁকে বাড়তি অর্থ গুণতে হয়েছে। সেদিন আর তিনি যেতে পারেননি। ধরতে হয়েছে পরদিনের ফ্লাইট। এ জন্য তাঁর আরও বেশ কিছু অর্থ গচ্চা গেছে।
অভিযোগ পাওয়ার পর আদালত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়, ওই তরুণী তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন, তাঁর কোনো ভিত্তি আছে আছে কি না। এ ছাড়া প্রেমিক যে তাঁকে বিমানবন্দরে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেছিলেন, এ–সংক্রান্ত কিছু লিখিত দিয়েছিলেন কি না। কিন্ত শেষ পর্যন্ত এ ধরনের কোনো লিখিত নথি বা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের প্রমাণ না পাওয়ায় আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন।
আদালত বলেছেন, ‘সঙ্গী, বন্ধু ও সহকর্মীদের মধ্যে সামাজিক নানা বোঝাপড়া থাকে। কিন্ত এসব নিয়ে যদি দেখানোর মতো প্রমাণ না থাকে, তাহলে সেসব প্রতিশ্রুতি মানার আইনি বাধ্যবাধকতা নেই। সেই তরুণীকে তাঁর সঙ্গী যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেটা প্রণয়ের সম্পর্কের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক একটি বিষয়। এটা চুক্তি বা লিখিত কোনো প্রতিশ্রুতি নয়। তাই আদালত তাঁর অভিযোগ খারিজ করে দিচ্ছেন।