মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়াতে চীনের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস
ছবি: রয়টার্স

গণতন্ত্রপন্থী চারজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পরিপ্রেক্ষিতে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আজ মঙ্গলবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, চীন অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে মিয়ানমারকে বেশি প্রভাবিত করতে পারে।

নেড প্রাইস বলেন, তাঁরা বিশ্বের অন্যান্য দেশকে মিয়ানমারের বিষয়ে আরও বেশি কিছু করার আহ্বান জানাচ্ছেন। তাঁরাও বেশি কাজ করবেন।

তবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, বেইজিং অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না।

আরও পড়ুন

চার গণতন্ত্রপন্থীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিষয়ে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, মতপার্থক্য নিরসনে মিয়ানমারের উচিত তার আইন ও সংবিধান ব্যবহার করা।

জান্তা সরকারবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত চারজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের তথ্য গতকাল সোমবার মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে জানানো হয়। তবে কবে তাঁদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, তা উল্লেখ করা হয়নি।

মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া ব্যক্তিরা হলেন অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) সাবেক আইনপ্রণেতা ফিয়ো জেয়া থকে, গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকর্মী কিয়াও মিন ইউ, হ্লা মিও অং ও অং থুরা জাও।

নেড প্রাইস বলেন, মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে কোনো ব্যবসা হতে পারে না। মিয়ানমারে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি নিষিদ্ধের জন্য সব দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মিয়ানমারের জান্তা সরকারের রাজস্ব কমাতে যুক্তরাষ্ট্র সব বিকল্প বিবেচনা করছে বলে জানান নেড প্রাইস।

আরও পড়ুন

গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান হয়। সু চির সরকার উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। এর পর থেকে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছেন মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থীরা। গণতন্ত্রপন্থীদের দমাতে নৃশংস দমন-পীড়ন চালিয়ে আসছে দেশটির সামরিক জান্তা।

চার গণতন্ত্রপন্থীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আনে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। রুদ্ধদ্বার বিচারে তাঁদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।