তুরস্কে নতুন করে ভূমিকম্পে ৩ জনের মৃত্যু, আহত ৬০০

তুরস্কে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার পর এখনো উদ্ধারকাজ চলছে
ফাইল ছবি: এএফপি

তুরস্কে ৬ ফেব্রুয়ারির পর আবারও স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার রাত ৮টা ৪ মিনিটে আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ৬ দশমিক ৪ মাত্রার এই ভূমিকম্পে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বিধ্বস্ত তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে এই ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে।

গতকালের এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে লেবানন ও মিসরে। এ ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে সিরিয়াতেও। সিরিয়া ও তুরস্ক মিলিয়ে গতকালের ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৬৮০ জন আহত হয়েছেন। তুরস্কের দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থা এএফএডি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর বেশ কয়েকটি পরাঘাত অনুভূত হয়েছে। তুরস্কে যাঁরা মারা গেছেন, তাঁরা হাতায় প্রদেশের আনতাকিয়া, দেফনে ও সামানদাগির বাসিন্দা।

ভূমিকম্পের পর তুরস্ক সরকারের পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। ভূমিকম্পে যেসব ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলোতে প্রবেশ না করতে জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সোলাইমান সয়লু। তিনি জানান, তুরস্কে সোমবারের ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন ২১৩ জন।

গৃহযুদ্ধের সময় থেকে সিরিয়ার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আসা সিরিয়ার অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, গতকালের ভূমিকম্পের পর দেশটিতে ৪৭০ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

আনতাকিয়ার প্রত্যক্ষদর্শীরা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, গতকালের ভূমিকম্পে আরও কিছু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত গেছে। অনেকেই এমন ভবনের নিচে চাপা পড়েছেন।

এ নিয়ে রয়টার্সের সঙ্গে কথা হয় আনতাকিয়ার বাসিন্দা মুনা আল-কমার। তিনি সাত বছরের ছেলেকে নিয়ে আনতাকিয়া কেন্দ্রীয় পার্কে তাঁবুতে রয়েছেন। মুনা বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছিল, পায়ের নিচে মাটি ফাঁক হয়ে যাচ্ছে।’

এদিকে ঘটনাস্থল থেকে বার্তা সংস্থা এএফপির একজন সাংবাদিক জানান, গতকাল রাতের এ ভূমিকম্পে মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নতুন এ ভূমিকম্পে আগের ভূমিকম্পে তৈরি হওয়া ধ্বংসস্তূপের ওপর ধুলার আস্তর তৈরি করেছে। এ ছাড়া ভূমিকম্পে আহত বেশ কয়েকজনকে চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা চাইতে দেখা গেছে।

৬ ফেব্রুয়ারি ভোরে তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে দুই দেশে এ পর্যন্ত ৪৭ হাজারের বেশি মানুষের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু তুরস্কেই ৪১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ওই ভূমিকম্পের পর তুরস্কে ৬ হাজারের বেশি পরাঘাত অনুভূত হয়েছে বলে এএফএডি জানিয়েছে।

আরও পড়ুন