দক্ষিণ ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া এবং আফ্রিকার উত্তরাঞ্চলে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এসব অঞ্চলের অনেক দেশে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। তাপপ্রবাহের কারণে বিদ্যালয় বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে করে ৪ কোটি শিক্ষার্থী শিখনঘাটতির মুখে পড়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বেড়েছে গড় তাপমাত্রা। এতে করে অতীতের তুলনায় বেশি সময় ধরে তাপপ্রবাহ চলেছে। এমন গরমে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হবে, নাকি বিদ্যালয় বন্ধ রেখে শিশুদের এ তাপপ্রবাহ থেকে স্বস্তি দেওয়া হবে, সেই সিদ্ধান্ত নিতে হিমশিম খাচ্ছে সরকার ও জনস্বাস্থ্যবিদেরা।
তবে বিদ্যালয় খোলা বা বন্ধ রাখা—দুই ক্ষেত্রেই রয়েছে বিরূপ প্রভাব। জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিদ্যালয়ে যাওয়ার বয়সী বিশ্বের ১৭ শতাংশ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই হার আরও অনেক বেশি। তাপপ্রবাহে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটতে পারে। কিন্তু একই সঙ্গে এমন গরমে পাঠদান চলমান থাকলে শিক্ষার্থীদের অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে।
গত মার্চে দক্ষিণ সুদানে তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে গিয়ে ঠেকে। এতে বিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এতে করে ২২ লাখ শিক্ষার্থী শিক্ষার বাইরে চলে গেছে। তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে চলতি এপ্রিলেও ভারত ও ইন্দোনেশিয়ায় হাজার হাজার বিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাপপ্রবাহের কারণে বিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়ায় বাংলাদেশেও ৩ কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থী শিক্ষার বাইরে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এসব অঞ্চলের বেশির ভাগ স্কুলে বৈদ্যুতিক পাখা নেই। বায়ু চলাচলের মতো পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও নেই। এতে করে এমন তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে পাঠানোও বিপজ্জনক।
জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, অত্যধিক তাপমাত্রার কারণে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে। এর বড় প্রভাব পড়ে শিশুশিক্ষার্থীদের পড়াশোনায়। তার ওপর বিদ্যালয় বন্ধ হলে এই কার্যক্ষমতা আরও কমতে পারে।