চীন-তাইওয়ান বিরোধ কেন

প্রতীকী ছবি
ছবি: রয়টার্সের ইলাস্ট্রেশন

স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল তাইওয়ানকে চীনের সঙ্গে একীভূত করাকে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য মনে করা হয়ে থাকে। সির শাসনামলে তাইওয়ানে চীনের আগ্রাসন বাড়তে দেখা গেছে। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, গত কয়েক দশকের মধ্যে বর্তমানে তাইওয়ানে চীনের হামলার হুমকি সবচেয়ে বেশি। চীন ও তাইওয়ানের মধ্যকার উত্তেজনার নেপথ্যে কী আছে, তা সংক্ষিপ্ত আকারে প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

চীন সরকার তাইওয়ানকে নিজেদের প্রদেশ বলে দাবি করে থাকে। জোরপূর্বক অঞ্চলটির দখল নেওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেয় না দেশটি। ১৯৪৯ সালে চীনে গৃহযুদ্ধের শেষের দিকে পরাজিত কুমিনতাং সরকার তাইওয়ান দ্বীপে পালিয়ে যায়। ওই এলাকায় নির্বাসনে থাকা অবস্থায় চীন প্রজাতন্ত্র (আরওসি) গড়ে তোলে।

এদিকে চীনের মূল ভূখণ্ডে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন সরকার গঠন করে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি (সিসিপি)। ১৯৭০–এর দশক থেকে অনেক দেশ আরওসির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক ছেদ করে বেইজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে।

সিসিপি কখনো তাইওয়ানে শাসন জারি করেনি। গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর তাইওয়ান কার্যত একধরনের স্বাধীনতা উপভোগ করেছে। ১৯৮০–এর দশকে এসে কয়েক দশকের সামরিক আইনের অবসান হওয়ার পর তাইওয়ান অবাধ নির্বাচন ও মুক্ত গণমাধ্যমবিশিষ্ট স্বতঃস্ফূর্ত গণতন্ত্রের অঞ্চলে পরিণত হয়।

তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় পিপল’স লিবারেশন আর্মি তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ অঞ্চলে শত শত যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে। তাইওয়ানও তাদের সেনাবাহিনীকে আধুনিকায়নের কাজ করছে। সি এবং সিসিপিকে মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বিপুলসংখ্যক সামরিক সরঞ্জাম ও অস্ত্র কিনছে তাইওয়ান।

অঞ্চলটির প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন বলেছেন, তাইওয়ান এমনিতেই সার্বভৌম দেশ, এখানে স্বাধীনতা ঘোষণার প্রয়োজন নেই। তবে তাইওয়ানে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে বিবেচনা করে।