আত্মঘাতী বোমা হামলায় কাবুলে তালেবান সরকারের মন্ত্রী নিহত

আফগানিস্তানে তালেবানের শরণার্থীবিষয়ক মন্ত্রী হাজি খলিলুর রহমান হাক্কানিছবি: রয়টার্স

আফগানিস্তানের কাবুলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভেতরে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় তালেবান সরকারের শরণার্থীবিষয়ক মন্ত্রী হাজি খলিলুর রহমান হাক্কানি নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার এ ঘটনা ঘটে। ২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ফেরার পর এবারই প্রথম তালেবানের শীর্ষ পর্যায়ের কোনো নেতা নিহত হলেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিভিন্ন সূত্র বলেছে, হাক্কানি তাঁর কার্যালয় থেকে বের হওয়ার কিছুক্ষণ আগে এ হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় আরও ছয়জন নিহত হয়েছেন।

সিএনএনের এক খবরে বলা হয়েছে, মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, হামলাকারী গতকাল নিজেকে অতিথি পরিচয় দিয়ে শরণার্থীবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেন। খলিল হাক্কানি দাপ্তরিক কাগজপত্রে স্বাক্ষর করার সময় বোমা বিস্ফোরণ ঘটান ওই হামলাকারী।

তালেবানের দাবি, ইসলামিক স্টেটসের (আইএস) সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালিয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আইএস কিংবা অন্য কোনো সংগঠন এ হামলার দায় নেয়নি।

খলিল হাক্কানি তালেবানের একটি শক্তিশালী গোষ্ঠীর শীর্ষ সদস্য ছিলেন। গোষ্ঠীটি হাক্কানি নেটওয়ার্ক নামে পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে ‘বৈশ্বিক সন্ত্রাসী’ ঘোষণা করেছিল।

খলিল হাক্কানির ভাই জালালুদ্দিন ছিলেন একজন জনপ্রিয় গেরিলা নেতা। তিনি ১৯৮০’র দশকে আফগানিস্তানে সোভিয়েত সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন। তিনি ছিলেন হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা। গোষ্ঠীটি ২০ বছর ধরে চলা তালেবান বিদ্রোহের সময় বিভিন্ন হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল।

জালালুদ্দিন হাক্কানির ছেলে এবং খলিল হাক্কানির ভাতিজা সিরাজুদ্দিন হাক্কানি বর্তমানে তালেবান সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র পুরোপুরিভাবে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর আফগানিস্তানের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় তালেবান। এর পর থেকে দেশটিতে তালেবান সরকারের অধীন নিরাপত্তাব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। এর আগে দেশটিতে প্রতিবছরই কয়েক ডজন বোমা বিস্ফোরণ ও আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটত।