ফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্প, কেঁপে উঠল ম্যানিলাও

ভূমিকম্পে রাস্তায় নেমে আসেন শঙ্কিত লোকজন
ছবি: এএফপি

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ফিলিপাইনের লুজান দ্বীপ। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, আজ বুধবারের এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১। ভূমিকম্পে দেশটির উত্তরাঞ্চলের একটি প্রদেশে একটি হাসপাতাল ও একাধিক ভবন মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে রাজধানী ম্যানিলায়ও।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়। তাতে বলা হচ্ছে, ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ৪ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। শক্তিশালী এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল লুজান দ্বীপের দোলোরেস শহর থেকে ১১ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে। সেখানে ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।

ফিলিপাইনের কর্মকর্তারা বলেছেন, ভূমিকম্পে আংশিক ধসে যাওয়ার পর আবা প্রদেশের একটি হাসপাতাল খালি করা হয়। তবে সেখানে কেউ হতাহত হননি।

গভর্নর জয় বার্নোস ধসে যাওয়া আবা প্রাদেশিক হাসপাতালের কিছু ছবি পোস্ট করেছেন ফেসবুকে। সেসব ছবিতে দেখা যায়, হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে বড় একটি গর্ত তৈরি হয়েছে। অন্যান্য ছবিতে হাসপাতালের বাইরে হাসপাতালের কর্মীদের ও বিছানাপত্র পড়ে থাকতে দেখা যায়। একটি বিছানায় রোগীও ছিলেন।

প্রদেশটির লাগানজিলাং শহরের মেয়র রোভলিন ভিলামোর বলেন, ‘আমাদের এখানে এখনো ভূমিকম্প-পরবর্তী কম্পন অনুভূত হচ্ছে। বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা জানতে পেরেছি। তবে এখনো কেউ হতাহত হয়নি। আমাদের এখানে এখন বিদ্যুৎ-সংযোগ নেই। ঝুঁকি বিবেচনায় স্বয়ংক্রিয়ভাবেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।’

জাতীয় ভূমিকম্প সংস্থার পরিচালক রেনাটো সোলিডাম স্থানীয় এক রেডিওকে বলেন, ভূমিকম্প-পরবর্তী শক্তিশালী ভূকম্পন (আফটার শক) হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সোলিডাম বলেন, এখন আবরা ও আশপাশের প্রদেশগুলোতে নজর দেওয়া হচ্ছে বেশি। এটা একটা বড় ধরনের ভূমিকম্প। তিনি আরও বলেন, আবরার কিছু এলাকায় ভূমিধস হয়েছে বলে জানা গেছে। বিশেষ করে প্রদেশটির মানাবো শহরে ভূমিধসের ঘটনা বেশি ঘটেছে।

রাজধানী ম্যানিলায়ও ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। সেখানে একাধিক ভবন থেকে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। শঙ্কিত কিছু মানুষ একটি ভবনের ৩০ তলা থেকে পালাতে বাধ্য হন। ভূমিকম্পে আতঙ্কিত মানুষের ছোটাছুটিতে শহরটির মেট্রোরেলে উঠতে মানুষের ভিড় লেগে যায়।

অবস্থানগত কারণে ফিলিপাইনে প্রায়ই ভূমিকম্পসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা ঘটে। প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশে থাকা সক্রিয় ‘আগ্নেয় বলয়’ বা ‘রিং অব ফায়ারের’ কারণে ফিলিপাইনে ভূমিকম্প হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি।