নেপালে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪০, আরও প্রাণহানির আশঙ্কা

বিধ্বস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরে যায়।
ছবি: এএফপি

নেপালের পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৭২ আরোহী নিয়ে ইয়েতি এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদ্ধারকাজ চলছে।

এ ঘটনায় নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহল জরুরি মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন। তিনি রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোকে উদ্ধারকাজে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন।

বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ রোববার সকালে পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৭২ আরোহী নিয়ে ইয়েতি এয়ারলাইনসের ‘৯ এন–এএনসি এটিআর–৭২’ মডেলের উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। পুরোনো বিমানবন্দর ও পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাঝামাঝি রানওয়েতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ৭২ আরোহীর মধ্যে ৬৮ যাত্রী ও ৪ ক্রু আছেন।

উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া নেপাল সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, আরও প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। উড়োজাহাজটি টুকরা টুকরা হয়ে হয়ে গেছে।

নেপালের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের (সিএএএন) বরাত দিয়ে এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উড়োজাহাজটি সকাল ১০টা ৩৩ মিনিটে কাঠমান্ডু থেকে পোখারার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

নেপালের স্থানীয় সাংবাদিক দিলীপ থাপা বলেন, বিধ্বস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। ধ্বংসাবশেষে আগুনের কারণে উদ্ধার অভিযান বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

আরও পড়ুন

উড়োজাহাজটি পোখারা বিমানবন্দরে অবতরণের সময়ে সেতি নদীর তীরে বিধ্বস্ত হয়। উড়োজাহাজটি ওড়ার প্রায় ২০ মিনিটের মধ্যে বিধ্বস্ত হয়। কাঠমান্ডু থেকে পোখারায় উড়োজাহাজের যাত্রাপথ ২৫ মিনিটের।

এর আগে সকালে ইয়েতি এয়ারলাইনসের মুখপাত্র সুদর্শন বর্তাউলা জানান, উড়োজাহাজটি ৬৮ যাত্রী ও ৪ ক্রু নিয়ে কাঠমান্ডু থেকে পোখারায় যাচ্ছিল। এ সময় পুরোনো বিমানবন্দর ও পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাঝামাঝি জায়গায় উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় কেউ বেঁচে আছে কি না, তা এখনো জানা যায়নি।

উদ্ধারকাজ চলছে।
ছবি: এএফপি

স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানান, বিধ্বস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। উদ্ধার তৎপরতা চালানো হচ্ছে। আপাতত পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।