আফগানদের সহায়তার জন্য উজবেকিস্তানে সম্মেলন

ফাইল ছবি: রয়টার্স

আফগানিস্তানের চলমান অর্থনৈতিক সংকট সমাধানে করণীয় বের করতে ২০টির বেশি দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে সম্মেলনের আয়োজন করেছে উজবেকিস্তান। দেশটির রাজধানী তাসকেনতে দুই দিনব্যাপী ওই সম্মেলন আজ মঙ্গলবার শেষ হওয়ার কথা।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকার খবরে বলা হয়েছে, সম্মেলনে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের তালেবান সরকার এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন। তবে ওই সম্মেলনে ফলপ্রসূ কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, এ বিষয়ে কোনো পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। সম্মেলনের পর কাল বুধবার যুক্তরাষ্ট্র ও আফগানিস্তান সরাসরি বৈঠকে অংশ নেবে। আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক সহায়তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবে তারা।

তালেবান সরকারের আফগানিস্তানে ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম বছর উদ্‌যাপনের প্রস্তুতি নেওয়ার সময়ে এমন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যদিও কট্টরপন্থী তালেবান সরকারকে এখনো কোনো দেশ স্বীকৃতি দেয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রে নিয়োজিত উজবেকিস্তানের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এই সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য হলো আফগানিস্তানের জনগণকে কার্যকর ও জরুরি সহায়তা প্রদান এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে দেশটিতে চলমান মানবিক সংকট নিরসনের লক্ষ্যে সব আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টাকে একত্র করা। আরেকটি উদ্দেশ্য হলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একটি কার্যকর সংলাপ আয়োজন এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সুসংহত অবস্থান গড়ে তোলা।’

তবে এই রাষ্ট্রদূত জোর দিয়ে বলেছেন, এখনই তালেবানকে স্বীকৃতি দেওয়ার কোনো ইচ্ছা উজবেকিস্তানের নেই। তাসখন্দ সম্মেলনের ‘প্রাথমিক লক্ষ্য’ ‘আফগান অর্থনীতির পুনরুদ্ধার।’

তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশ নিয়েছে। আর মার্কিন প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন থমাস ওয়েস্ট। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আফগানিস্তানবিষয়ক বিশেষ দূত। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, থমাস ওয়েস্টের সঙ্গে প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের আফগান নারী ও মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ দূত রিনা আমিরি।

বিবৃতিতে বলা হয়, আফগান জনগণের প্রতি ওয়াশিংটনের ‘অবিচল’ সমর্থনের ওপর জোর দিতে এবং তালেবানকে তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণের আহ্বান জানাতে যুক্তরাষ্ট্র এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক আফগানিস্তানের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা নারী ও জাতিগত এবং ধর্মীয় সম্প্রদায়সহ সব আফগানের মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতাকে সম্মান করে।

ওই সম্মেলনের পর আফগান প্রতিনিধিদলের সঙ্গে কালকের বৈঠকে আফগানিস্তানের জনগণ যে অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়েছে, সে বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।