ফিলিপাইনের ম্যানিলার টন্ডোতে ডক্টর হোসে ফ্যাবেলা মেমোরিয়াল হাসপাতালে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ১টা ২৯ মিনিটে জন্ম হয় শিশু ভিনিস ম্যাবানস্যাগের। তাকে প্রতীকী হিসেবে বিশ্বের ‘৮০০ কোটিতম’ মানবসন্তান হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ফিলিপাইনের কমিশন অন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগ শিশুটির জন্মের ঘটনাটি উদ্যাপন করছে। তাদের পক্ষ থেকে ফেসবুকে মা ও শিশুর একটি ছবিও পোস্ট করা হয়েছে। খবর এনডিটিভির।
জাতিসংঘ বলেছে, বিশ্বের মোট জনসংখ্যা ৭০০ কোটি থেকে ৮০০ কোটিতে যেতে এক যুগ সময় লেগেছে। এর মধ্যে বিশ্বের বৃহৎ জনসংখ্যার দেশ হিসেবে আগামী বছরেই চীনকে টপকে যাবে ভারত। জনস্বাস্থ্য, ওষুধ নিয়ে গবেষণা, খাদ্যের সহজলভ্যতা, ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার কারণে মানুষের আয়ু বেড়েছে। এ ছাড়া বেশ কিছু দেশের জন্মহারে উচ্চহারের কারণেও জনসংখ্যা এ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
ফিলিপাইনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ম্যানিলার টন্ডোতে একটি মেয়েশিশু জন্মের মধ্য দিয়ে বিশ্ব আরেকটি মাইলফলক স্পর্শ করল। বিশ্বের ৮০০ কোটিতম মানবসন্তান জন্মের বিষয়টি প্রতীকী হিসেবে চিহ্নিত করতে ম্যানিলাকে বেছে নেওয়া হয়। ১৫ নভেম্বর ডক্টর হোসে ফ্যাবেলা মেমোরিয়াল হাসপাতালের নার্স ও ফিলিপাইনের কমিশন অন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের কর্মকর্তারা শিশু ভিনিসকে স্বাগত জানান।
জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ৮০০ কোটি জনসংখ্যার এ মাইলফলক বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্যের বড় উন্নতির ইঙ্গিত দেয়, যা মৃত্যুর ঝুঁকি কমিয়েছে এবং আয়ু বৃদ্ধি করেছে। একই সঙ্গে এই মুহূর্তটি এই জনসংখ্যার বাইরে বিশাল মানবতার জন্য একটি স্পষ্ট আহ্বান সৃষ্টি করেছে। এ ছাড়া সবচেয়ে ঝুঁকিতে পড়া মানুষ ও গ্রহকে (পৃথিবী) রক্ষার জন্য সম্মিলিত দায়িত্ববোধ তৈরি করেছে।
জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) এক টুইটে বলেছে, ‘৮ বিলিয়ন আশা। ৮ বিলিয়ন স্বপ্ন। ৮ বিলিয়ন দায়িত্ব। আমাদের গ্রহ এখন ৮ বিলিয়ন মানুষের আবাস।’ জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গত শতাব্দীতে বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধি তুলনামূলকভাবে বেশ দ্রুত হয়েছে এবং বৃদ্ধির গতি ধীরে ধীরে মন্থর হয়েছে। ২০৩৭ সাল নাগাদ বিশ্বের জনসংখ্যা ৯০০ কোটিতে পৌঁছাতে পারে। ২০৫৮ সাল নাগাদ বিশ্বের জনসংখ্যা হাজার কোটিতে পৌঁছাতে পারে।