অজগরের পেটে নারীর অক্ষত মরদেহ

অজগর
ছবি: এএফপি

ইন্দোনেশিয়ার জামবি প্রদেশে একটি অজগরের পেট থেকে মাঝবয়সী একজন নারীর মরদেহ উদ্ধার করার খবর জানিয়েছে দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।

ওই নারীর নাম জাহরাহ। বয়স ৫০ বছর। তিনি ছিলেন একটি রাবার বাগানের শ্রমিক। প্রতিদিনের মতো গত রোববার সকালে তিনি কাজের জন্য বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু রাত অবধি বাড়িতে ফেরেননি। পরদিন গ্রামবাসী বড় পেটের একটি অজগর দেখতে পান। তাঁরা অজগরটিকে মেরে নারীর মরদেহ উদ্ধার করেন।

স্থানীয় পুলিশপ্রধান একেপি এস হারেফা জানান, অজগরটি জাহরাহকে হত্যার পর তাঁর মরদেহ গিলে ফেলেছিল। পরে অজগরটির পেট কেটে জাহরাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহটি প্রায় অক্ষত ছিল। অবশ্য প্রথমবারেই জাহরার মরদেহ শনাক্ত করা যায়নি। কাপড় দেখে তাঁকে তাঁর পরিবারের সদস্যরা শনাক্ত করেন।

হারেফা আরও বলেন, সকালে বের হলেও রাত পর্যন্ত স্ত্রীকে ফিরতে না দেখে জাহরাহর স্বামীর সন্দেহ হয়। রাতে তিনি জাহরার ব্যবহৃত কাপড় ও রাবার গাছ লাগানোর জন্য জাহরাহ যে যন্ত্র ব্যবহার করতেন সেটি খুঁজে পান। এরপর পুলিশকে বিষয়টি জানান। পরে পুলিশ জাহরার খোঁজে উদ্ধার অভিযান শুরু করে।

পরদিন সোমবার ওই এলাকায় ১৬ ফুট লম্বা একটি অজগর দেখা যায়। অজগরটির অস্বাভাবিক আকার দেখে গ্রামবাসীর সন্দেহ হয়। তাঁরা অজগরটিকে ধরে হত্যা করেন। এরপর অজগরের পেট কাটার পর দেখা যায়ম অজগরের পেটে জাহরাহর অক্ষত মরদেহ। পরে জাহরাহর পরিবারের সদস্যরা তাঁর মরদেহ শনাক্ত করেন।

অজগরের মানুষ গিলে ফেলার এমন ঘটনা বিরল। তবে ইন্দোনেশিয়ার জন্য এ রকম ঘটনা নতুন নয়। এর আগে ২০১৮ সালে ইন্দোনেশিয়ায় ২২ ফুট লম্বা একটি অজগর ৫৪ বছরের একজন নারীকে আস্ত গিলে ফেলেছিল। তারও আগে ২০১৭ সালে ইন্দোনেশিয়াতেই একইভাবে এক নারীকে গিলে ফেলেছিল একটি অজগর।