মালয়েশিয়ায় দুই মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে এক ব্যক্তির ৭০২ বছরের কারাদণ্ড

কারাগার
প্রতীকী ছবি

মালয়েশিয়ায় নিজের দুই মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে এক ব্যক্তিকে ৭০২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ২৩৪টি বেত্রাঘাতের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুসারে, মালয়েশিয়ার দণ্ড পাওয়া এই ব্যক্তির বয়স ৫৩ বছর। ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিনি তাঁর দুই মেয়েকে ৩০ বার ধর্ষণের অপরাধ আদালতে স্বীকার করেছেন।

জঘন্য এই অপরাধের ঘটনা ঘটেছে মালয়েশিয়ার জোহর রাজ্যের মুয়ার এলাকায়। ভুক্তভোগী মেয়ে দুটির বয়স এখন ১২ ও ১৫ বছর।

খবরে বলা হয়, ধর্ষণের কারণে একটি মেয়ে গর্ভবতী হয়ে পড়ে।

আদালতের রায়ে বলা হয়, দুই মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে আসামিকে যে সাজা দেওয়া হয়েছে, তা একই সঙ্গে চলবে।

বিচারে অপরাধের গুরুতর প্রকৃতির যুক্তি দেখিয়ে আদালতের কাছে আসামির কঠোর সাজা দাবি করে প্রসিকিউশন।

প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে আদালতে বলা হয়, ধর্ষণের ঘটনা শিশু দুটির ওপর যে মানসিক আঘাত (ট্রমা) তৈরি করেছে, তার প্রভাব তাদের জীবনভর বয়ে বেড়াতে হবে।

আদালতে আসামি তাঁর অপরাধের জন্য অনুশোচনা প্রকাশ করেন। তিনি তাঁর অপরাধের জন্য কম সাজার আরজি জানান। তবে আসামির এই আবেদন নাকচ করেন বিচারক।

বিচারক বলেন, আসামি যে অপরাধ করেছেন, তা অত্যন্ত গুরুতর। বিচারক আশা প্রকাশ করেন, আসামিকে যে সাজা দেওয়া হয়েছে, তা তাঁকে তাঁর অপরাধের বিষয়ে ভাবতে বাধ্য করবে। এই সাজা তাঁকে শিক্ষা নিতে বাধ্য করবে।

আসামি নিজেই তাঁর অপরাধ স্বীকার করে আদালতে বলেন, ‘আমি আমার কৃতকর্মের (অপরাধ) সাজা মেনে নিচ্ছি।’

শিশু যৌন অপরাধ-সংক্রান্ত মামলায় এই ধরনের দীর্ঘমেয়াদি কারাদণ্ড মালয়েশিয়ার আইনি ব্যবস্থায় অস্বাভাবিক নয়।

সম্প্রতি একই ধরনের এক মামলায় দেশটির এক ব্যক্তির ২১৮ বছরের কারাদণ্ড হয়। এ ছাড়া তাঁকে ৭৫টি বেত্রাঘাতের আদেশ দেওয়া হয়। নিজের ১৫ বছর বয়সী মেয়েকে তিন বছর ধরে যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের দায়ে তাঁকে এই দণ্ড দেন আদালত।