টানা ভারী বর্ষণে বিস্তীর্ণ এলাকায় দেখা দিয়েছে বন্যা। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট। বন্যার পানি ঢুকেছে বাসাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে। পানির তোড়ে ভেসে গেছে অনেকগুলো গাড়ি। সেই গাড়ি খুঁজতে একটি সুড়ঙ্গে গিয়েছিলেন উদ্ধারকর্মীরা। সুড়ঙ্গটিতে ৯ জনের মরদেহ পেয়েছেন তাঁরা।
দক্ষিণ কোরিয়ার নর্থ চুংচেওং প্রদেশের চেয়ংজিউ শহরের অদূরের একটি সুড়ঙ্গ থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার হয়। ধারণা করা হচ্ছে, গাড়িতে থাকা এসব মানুষ স্রোতের তোড়ে ভেসে গিয়েছিলেন। এসব মরদেহের বেশির ভাগ উদ্ধার হয় ডুবে যাওয়া একটি বাস থেকে। ৬৮৫ মিটার দীর্ঘ এ সুড়ঙ্গে আরও কতজন আটকা রয়েছেন, তা জানা যায়নি। কর্তৃপক্ষ বলেছে, সুড়ঙ্গে ১৫টি গাড়ি ডুবে গেছে।
গতকাল শনিবার দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। দেশটিতে সাধারণত এত বৃষ্টিপাত হতে দেখা যায় না। দক্ষিণ কোরিয়ার আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য বলছে, দেশটিতে বছরে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৮০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। অথচ এক দিনে বৃষ্টি হলো ৩০০ মিলিমিটার।
দক্ষিণ কোরিয়ায় বন্যা ও ভূমিধসে গত কয়েক দিনেই অন্তত ৩৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ওপর থেকে তোলা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বন্যাকবলিত এলাকায় বাড়িঘর পানিতে নিমজ্জিত। ঘরের ছাদ ছাড়া কিছুই দেখা যাচ্ছে না। এসব এলাকার হাজারো মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় দেশটির বেশ কিছু প্রদেশের সরকার স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। উদ্ধারকর্মীদের সাহায্য করার জন্য সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু।