সিডনির বাড়িতে পাওয়া গেল ‘পরমাণু’ পদার্থ

সিডনির এই বাড়িতে ‘পরমাণু আইসোটোপ’ পাওয়া গেছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। ১৭ আগস্ট
ছবি: এএফপি

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির দক্ষিণে আজ বৃহস্পতিবার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সেখানে ‘পরমাণু আইসোটোপ’ পাওয়া গেছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।

সিডনির আর্নক্লিফ শহরের ওই বাড়িতে আজ ভোরে ওই অভিযান চালানো হয়েছে। বাড়ির ভেতরে বিষাক্ত রাসায়নিক, পরমাণু বা জীবাণু উপাদান থাকতে পারে, এমন আশঙ্কায় বাড়িটি ঘিরে রাখা হয়েছে।

লাল-হলুদ টেপ দিয়ে বাড়িটি আশপাশের সড়ক থেকে আলাদা করে রাখা হয়েছে। টেপে লেখা রয়েছে—‘দূষিত এলাকা’ ভেতরে প্রবেশ করবেন না, বিপজ্জনক এলাকা’।

স্থানীয় সম্প্রচারমাধ্যম চ্যানেল টেনের খবরে বলা হয়, বাড়ির ভেতরে পারদ ও ইউরেনিয়াম পাওয়া গেছে। অন্যদিকে ডেইলি টেলিগ্রাফ বলছে, পুলিশ কর্মকর্তারা বাড়ির ভেতরে পরমাণু আইসোটোপ পেয়েছেন।

ওই বাড়ি বা বাড়ির আশপাশে তেজস্ক্রিয় পদার্থ পাওয়ার বিষয়ে অস্ট্রেলীয় সীমান্ত বাহিনী (এবিএফ) গণমাধ্যমের এই প্রতিবেদনের বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলেনি।

এবিএফের এক মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, নিউ সাউথ ওয়েলসের আর্নক্লিফে জরুরি সেবা সংস্থার সহায়তায় একটি বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে এবিএফ। এ জন্য সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ওই এলাকার বাসিন্দাদের জরুরি সেবা সংস্থার সব ধরনের নিদের্শনা মেনে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

স্যাম আব্রাহাম (১৯) নামের এক বাসিন্দা ওই এলাকার সড়ক হয়ে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছিলেন। তিনি বার্তা সংস্থাকে বলেন, ‘আপনার প্রতিবেশীর বাড়িতে ইউরেনিয়াম পাওয়ার খবর সত্যিই ভীতিকর। আপনি যদি সেখানে রাস্তায় নেমে পুলিশ দেখেন তাহলে পরিস্থিতি তো আরও ভয়াবহ মনে হয়।’

আব্রাহাম বলেন, ‘আর্নক্লিফ এলাকায় সাধারণত এমন ঘটনা কখনো ঘটেছে বলে শুনিনি।’

নেমার খামিস (৬০) নামের আরেক ব্যক্তি বার্তা সংস্থাকে বলেন, ‘সকালে আমি ট্রাকের শব্দ এবং নিরাপত্তাকর্মীদের শোরগোলের শব্দ শুনেছি। আমি জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখি, সেখানে অ্যাম্বুলেন্স আর ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি দাঁড়ানো।’

নেমার খামিস বলেন, ‘এরপর আমি বাড়ি থেকে বের হয়ে আসি। তবে পরে আবার আমি ঘরে ফিরে যাই। আমি গোসল সেরে শিশুকে নিয়ে আবার বের হই। তখন পুলিশ আমাকে বাড়িতে চলে যেতে বলে।’

খামিস তাঁর স্বজনদের ফোন করেন যাঁরা তাঁকে বলেছেন, সড়কে কিছু ইউরেনিয়াম রয়েছে। পুলিশের ওই ইউনিট এই ইউরেনিয়াম উদ্ধার করেছে।

অস্ট্রেলিয়ান রেডিয়েশন অ্যান্ড নিউক্লিয়ার সেফটি এজেন্সিও (এআরপিএএনএসএ) ওই বাড়িতে পরমাণু পদার্থের উপস্থিতির বিষয়ে কিছু জানাতে অস্বীকার করেছে।

এআরপিএএনএসএর এক মুখপাত্র বলেন, তারা চলমান পরিস্থিতি ও এর থেকে উত্তরণে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারকে সার্বিক সহযোগিতা করবে।