সৈকতে ভেসে এল বড়সড় এক ধাতব বল। রহস্যময় এই ধাতব বল দেখে বিস্ময়ের অন্ত নেই কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের। বিস্ময়ের সঙ্গে ছিল ভয়ও। অবিস্ফোরিত মাইন সন্দেহে ডেকে আনা হয় বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের সদস্যদেরও। হুলুস্থুল এই ঘটনা ঘটেছে জাপানের হামামাতসু শহরের সমুদ্রসৈকতে।
স্কাই নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, নিবিড় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাৎক্ষণিক কোনো ধরনের ঝুঁকির কিছু নেই বলে জানিয়েছে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল। এক্স-রে প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেখা যায়, ধাতব বলটির ভেতরটা ফাঁকা। বলটির লক্ষ্যভ্রষ্ট মাইন হওয়ার শঙ্কা তাৎক্ষণিক নাকচ করে দেওয়া হয়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, বলটির ব্যাসার্ধ প্রায় দেড় মিটার। এনশু সৈকতে এটি ভেসে আসে। স্থানীয়দের একজন কর্তৃপক্ষকে বস্তুটির তথ্য জানান। খবর পেয়ে সুরক্ষা পোশাক পরে ঘটনাস্থলে ছুটে যান বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ দলের সদস্যরা। আশপাশের বড় একটি এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে দিয়ে বলটি তাঁরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন।
বলটি লোহার তৈরি বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওপরে মরিচা পড়েছে। উপরিভাগে রয়েছে দুটি হাতল। মনে করা হচ্ছে, এটি সাধারণত কোনো কিছুর সঙ্গে আটকানো থাকে। জাপানের সশস্ত্র বাহিনী ও কোস্টগার্ডের কর্মকর্তারা বলের ছবি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে, বলটি আকাশ থেকে পড়ে থাকতে পারে। এটি আরেক ধরনের নজরদারি বেলুন কি না, এমন প্রশ্নও তুলেছেন কেউ কেউ।
৪ ফেব্রুয়ারি সাউথ ক্যারোলাইনা উপকূলে চীনের কথিত গোয়েন্দা বেলুন ভূপাতিত করে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের ধারণা, স্পর্শকাতর সামরিক স্থাপনার ওপর নজরদারি চালানোর অংশ হিসেবে ওই বেলুন ওড়ানো হয়েছিল। তবে চীন জোর দিয়ে বলেছে, আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ ও অন্যান্য বৈজ্ঞানিক উদ্দেশ্যে ওড়ানো বেলুনটি পথ হারিয়েছিল।
এ ছাড়া উত্তর আমেরিকার আকাশসীমায় আরও তিনটি বেলুনসদৃশ বস্তু ভূপাতিত করা হয়। পরে মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন, এসব বেলুন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় বলেই মনে হয়েছে।