থাইল্যান্ডে বিষাক্ত পটাশিয়াম সায়ানাইড প্রয়োগে ১৩ জনকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক নারীর বিরুদ্ধে। তাঁর নাম সারারাত রাংসিউথানপর্ন। গত মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ওই নারীর বিরুদ্ধে ৯ জনকে হত্যার অভিযোগ আনে পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার এই সংখ্যা বাড়িয়ে ১৩ জন করা হয়।
থাইল্যান্ডের পুলিশ কর্মকর্তা সুরাচাতে হাকপার্ন বৃহস্পতিবার বলেন, ২০২০ সাল থেকে অন্তত ১৩ জনকে হত্যার অভিযোগে ওই নারীর বিরুদ্ধে তদন্ত করছে পুলিশ। অর্থের কারণে এসব হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তিনি মানসিক রোগের চিকিৎসা নিয়েছিলেন বলেও জানা গেছে।
সারারাত বর্তমানে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তাঁর স্বামী থাইল্যান্ড পুলিশের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। পুলিশ বলছে, ওই নারীর বাসায় সায়ানাইডের মতো জিনিস পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ভুক্তভোগীদের খাবার ও পানির সঙ্গে ওই সায়ানাইড মিশিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এতে বিষক্রিয়ায় তাঁদের মৃত্যু হয়।
প্রায় দুই সপ্তাহ আগে রাজধানী ব্যাংককের পশ্চিমে রাচাবুরি প্রদেশে এক ব্যক্তির মৃত্যুর পর সারারাতকে নিয়ে সন্দেহ হয় পুলিশের। তিনি সারারাতের বন্ধু ছিলেন। এরপর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে সায়ানাইড প্রয়োগে অন্যান্য হত্যাকাণ্ডেও সারারাতের সংশ্লিষ্টতা পায় পুলিশ।
সারারাত অবশ্য নিজের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তদন্তের স্বার্থে তাঁর স্বামী ও অন্যান্য প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। হত্যার শিকার ব্যক্তিদের সংখ্যা বৃদ্ধির পর তদন্তের আওতাও বাড়িয়েছে পুলিশ। বর্তমানে মোট পাঁচটি প্রদেশে তদন্ত চালানো হচ্ছে।
এদিকে আরেকজনকেও হত্যার চেষ্টা করেছিলেন সারারাত। তবে তিনি সায়ানাইড মেশানো খাবার বমি করে দেওয়ার পর বেঁচে যান। পুলিশ কর্মকর্তা সুরাচাতে হাকপার্ন বলেন, সারারাত ওই নারীকে একটি ঔষধি গাছ খেতে দেন। ২০ মিনিট পর তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত তিনি বেঁচে যান।