কারাবাখ অঞ্চলে হামলায় নিহত ৩২, যুদ্ধবিরতি

আজারবাইজানের সেনাবাহিনীর অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন ও যান। নাগার্নো–কারাবাখের স্তেপানাকার্ত শহর, ১৯ সেপ্টেম্বর
ছবি: রয়টার্স

আর্মেনিয়া জানিয়েছে, বিরোধপূর্ণ নাগোরনো–কারাবাখ অঞ্চলে আজারবাইজানের সামরিক অভিযানে ৩২ জন নিহত এবং ২০০ জন আহত হয়েছেন।

গতকাল বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে তারা। আর্মেনিয়ার মানবাধিকারকর্মী আনাহিত মানাসিয়ান গতকাল জানান, পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টা ধরে এ অভিযান চালিয়েছে সামরিক বাহিনী। সেখানে গোলাবর্ষণের ফলে কমপক্ষে ৩২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২০০ জন।

যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের মধ্যে সাতজন সাধারণ মানুষ। এ ছাড়া দুটি শিশুও নিহত হয়েছে।

এদিকে এ হামলার পর সেখানে বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানো গেছে। আজারবাইজান এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ভবিষ্যতে তাদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা হবেও বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

৪ হাজার ৪০০ বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত পাহাড়ি এলাকা নাগারনো-কারাবাখ। এখানে খ্রিষ্টান আর্মেনীয় ও মুসলিম তুর্কিরা বসবাস করে। সোভিয়েত আমলে এটি আজারবাইজান প্রজাতন্ত্রের মধ্যে স্বায়ত্তশাসিত এলাকা ছিল। আন্তর্জাতিকভাবে এই এলাকা আজারবাইজানের অংশ হিসেবে স্বীকৃত। তবে এখানকার বেশির ভাগ জনগোষ্ঠী আর্মেনীয় আদিবাসী।

১৯৮৮ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে চলা সংঘর্ষে ১০ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়। নিহত হয় প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। ১৯৯০–এর দশকে বিচ্ছিন্নতাবাদী বাহিনী আজারবাইজানের কিছু এলাকা দখল করে। ১৯৯৪ সালে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয় দুই দেশের মধ্যে। তবে এরপর অনেকটাই অচলাবস্থা রয়েছে এ অঞ্চলে। তুরস্ক প্রকাশ্যে আজারবাইজানকে সমর্থন করে। আর্মেনিয়ায় রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটি রয়েছে।