নাসার জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরির সেন্ট্রি সিস্টেম বলছে, ২০২৩ ডিডব্লিউ গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষের আশঙ্কা ৫৬০ ভাগের ১ ভাগ। আর ইউরোপের মহাকাশ সংস্থা ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি বলছে, গ্রহাণুটির সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষের শঙ্কা ৬২৫ ভাগের এক ভাগ।
নাসা এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, মহাকাশে যখন নতুন কোনো বস্তু শনাক্ত হয়, তখন সেই বস্তুর গতিবিধি নিয়ে বেশ অনিশ্চয়তা থাকে। কয়েক সপ্তাহ ধরে তথ্য সংগ্রহ করার পর এর গতিবিধি বা সম্ভাব্য কক্ষপথ বিষয়ে মোটামুটি ধারণা পাওয়া যায়। কক্ষপথ বিশ্লেষকেরা ২০২৩ ডিডব্লিউ গ্রহাণু নিয়ে পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে। পর্যাপ্ত তথ্য পেলে সম্ভাব্য গতিপথ বিষয়ে হালনাগাদ কিছু বলা যাবে।’
এই গ্রহাণু প্রথম শনাক্ত হয় গত মাসে। এর ব্যাস প্রায় ১৬০ ফুট (৪৯ মিটার), যা মোটামুটি অলিম্পিক গেমসের একটি সুইমিংপুলের সমান।
গত সেপ্টেম্বরে নাসা তার ডাবল অ্যাসটেরয়েড রিডিরেকশন টেস্ট (ডিএআরটি) মহাকাশযান ব্যবহার করে পৃথিবীর সঙ্গে একটি গ্রহাণুর সম্ভাব্য সংঘর্ষ ঠেকানোর চেষ্টা করে। পরে নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা এই চেষ্টায় সফল হয়েছে।