আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২৪০০ ছাড়াল

আফগানিস্তানের হেরাতে জিন্দা জান এলাকায় ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত একটি ভবনের পাশে বসে কাঁদছে এক শিশু, ৮ অক্টোবর
ছবি: রয়টার্স

আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৪০০ ছাড়িয়েছে। গতকাল রোববার দেশটির তালেবান সরকার এ তথ্য জানিয়েছে। আহত ব্যক্তিদের ব্যাপারে আগের দেওয়া সংখ্যা কমিয়ে সংশোধনী দেওয়া হয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জে সায়িক রয়টার্সের কাছে পাঠানো এক বার্তায় বলেন, ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৪৪৫-এ দাঁড়িয়েছে। আহত ব্যক্তিদের ব্যাপারে আগের দেওয়া সংখ্যা থেকে সরে এসে তিনি বলেন, ভূমিকম্পে দুই হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। এর আগে আহত ব্যক্তি সংখ্যা ৯ হাজার ২৪০ বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি। সায়িক আরও বলেন, ভূমিকম্পের আঘাতে ১ হাজার ৩২০টি ঘরবাড়ি পুরোপুরি ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পৃথক সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ১০টি উদ্ধারকারী দল ইরানের সীমান্তসংলগ্ন ওই এলাকায় কাজ করছে বলে জানান।

ড্যানিশ নামে হেরাতের স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, বিভিন্ন হাসপাতালে দুই শতাধিক মরদেহ নেওয়া হয়েছে। তাঁদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।

ড্যানিশ বলেন, সামরিক ঘাঁটি, হাসপাতালসহ বিভিন্ন জায়গায় মরদেহগুলো নেওয়া হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গেছে, হেরাতের প্রধান হাসপাতালে আহত ব্যক্তিদের ভিড়। হাসপাতালের বাইরেও শয্যা স্থাপন করা হয়েছে।
কাতারে তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের প্রধান সুহাইল শাহিন গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় বলেন, উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম চালাতে জরুরি ভিত্তিতে খাবার, বিশুদ্ধ পানি, ওষুধ, কাপড় ও তাঁবু প্রয়োজন।

হেরাতের বাসিন্দা নাসিমা গত শনিবার রয়টার্সকে এক খুদে বার্তায় বলেন, শহরটিতে ভূমিকম্প-পরবর্তী কম্পন (আফটার শকস) অনুভূত হচ্ছে। এতে হেরাতের বাসিন্দারা আতঙ্কে আছেন। তিনি আরও বলেন, ‘লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে বাইরে অবস্থান করছেন। আমরা সবাই রাস্তায় আছি।’

গতকাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হেরাত প্রদেশে ২০২টি সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান আছে। এর মধ্যে শুধু একটি বড় আঞ্চলিক হাসপাতালেই পাঁচ শতাধিক হতাহত মানুষকে নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন

শনিবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশের রাজধানী থেকে ৩০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। পরে আরও কয়েকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প-পরবর্তী কম্পন হয়।