আফগানিস্তানে আরও দুই এনজিওর কার্যক্রম স্থগিত

গত শনিবার আফগানিস্তানে এনজিওতে নারীদের কাজ বন্ধের নির্দেশ দেয় তালেবানছবি: এএফপি

আফগানিস্তানে আরও দুটি বিদেশি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) তাদের কার্যক্রম স্থগিত করে দিয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে ছয়টি এনজিও কার্যক্রম স্থগিত করল। খবর এএফপির।

সবশেষ গতকাল সোমবার ক্রিশ্চিয়ান এইড ও অ্যাকশনএইড আফগানিস্তানে কার্যক্রম স্থগিত করে। আগের দিন রোববার কেয়ার ইন্টারন্যাশনাল, দ্য নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিল (এনআরসি) ও সেভ দ্য চিলড্রেন একই সিদ্ধান্তের কথা জানায়। এ ছাড়া ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটিও আফগানিস্তানে কার্যক্রম স্থগিতের কথা জানিয়েছে।

গত শনিবার আফগানিস্তানের তালেবান সরকার দেশটিতে দেশি-বিদেশি সব এনজিওতে নারীদের কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেয়।

আরও পড়ুন

সম্প্রতি আফগানিস্তানে নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তালেবান। এই ঘোষণার এক সপ্তাহ না পেরোতেই দেশটিতে এনজিওতে নারীদের কাজ বন্ধের নির্দেশ জারি করে তালেবান। এই নির্দেশ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।

ক্রিশ্চিয়ান এইডের বৈশ্বিক কার্যক্রমের প্রধান রয় হাসান এক বিবৃতিতে বলেন, তালেবানের আদেশটির বিষয়ে তাঁরা দ্রুত ব্যাখ্যা চাইছিলেন। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য তাঁরা তালেবান কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুর্ভাগ্যবশত তাঁদের সংস্থার কার্যক্রম স্থগিত করতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন

অ্যাকশনএইড বলেছে, যদি সংস্থাটিতে নারীদের কাজ নিষিদ্ধ করা হয়, তবে তারা অর্ধেক জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছাতে ব্যর্থ হবে। এই জনগোষ্ঠী ক্ষুধার্ত অবস্থায় রয়েছে।
এক বিবৃতিতে অ্যাকশনএইড বলেছে, সংস্থাটি আফগানিস্তানে তার বেশির ভাগ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধের কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আফগানিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চলজুড়ে কয়েক ডজন বেসরকারি সংস্থা কাজ করে। সংস্থাগুলোর কর্মীদের অধিকাংশই নারী। এখন নারী কর্মীদের ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণে সংস্থাগুলোর কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে।

আরও পড়ুন

তালেবানের এই নির্দেশের নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। তারা বলেছে, এই পদক্ষেপ দেশটিকে পিছিয়ে নিয়ে যাবে।

গত বছরের আগস্টে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালেবান। ক্ষমতা দখলের পর তারা নারী অধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু তারা নারী অধিকার খর্ব করে চলছে।

আরও পড়ুন