দক্ষিণ কোরিয়ায় পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে

দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন এক ব্যক্তিছবি: রয়টার্স

দক্ষিণ কোরিয়ায় আজ বুধবার পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে। বিশ্লেষকদের কেউ কেউ এ নির্বাচনকে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউলের টিকে থাকার প্রশ্নে গণভোট হিসেবে দেখছেন। জীবনযাপনের খরচ বেড়ে যাওয়া ও রাজনৈতিক কেলেঙ্কারিকে কেন্দ্র করে তাঁর জনপ্রিয়তা কমতির দিকে আছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে, বেলা ২টা নাগাদ প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ মানুষ অর্থাৎ ৫৬ দশমিক ৪ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। এর মধ্যে ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ আগাম ভোট দিয়েছেন।

এটি এ সময়ের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ভোট পড়ার ঘটনা। যদিও ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বেলা ২টা নাগাদ ভোটার উপস্থিতি আরও বেশি ছিল। ওই নির্বাচনে সামান্য ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন ইউন।

দক্ষিণ কোরিয়ায় ৩০০ আসনের পার্লামেন্টে বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির (ডিপি) আধিপত্য। দলটির অভিযোগ, ইউন ও তাঁর রক্ষণশীল দল পিপল পাওয়ার পার্টি (পিপিপি) অর্থনীতিকে ঠিকভাবে সামাল দিতে পারছে না। তারা মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে।

পিপল পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) নেতা হান দং-হুন বলেছেন, নির্বাচনে যদি ডেমোক্রেটিক পার্টি বড় জয় পেয়ে যায়, তাহলে দেশ বড় ধরনের সংকটে পড়বে। দলটির নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আছে।

প্রেসিডেন্ট ইউনের কাছ থেকে ভেটো ক্ষমতা কেড়ে নিতে হলে ডেমোক্রেটিক পার্টিকে বড় ধরনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে হবে। তাদের ২০০ আসনে জয় পেতে হবে, যা নজিরবিহীন। তবে ডেমোক্রেটিক পার্টির এমন জয় ভালো ফল বয়ে আনবে না বলে সতর্ক করেছেন হান দং হুন।

নির্বাচনের ফল কী হবে, তা নিয়ে জনমত জরিপগুলোয় মিশ্র আভাস পাওয়া গেছে। দুটি বড় দল বলেছে, কয়েকটি জেলায় এত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে যে সেখানকার ফল নিয়ে আভাস দেওয়া কঠিন। তবে কোনো কোনো দলের নেতা ও রাজনীতি বিশ্লেষকেরা আভাস দিয়েছেন, ডেমোক্রেটিক পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে পারে।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে পাঁচ বছরের মেয়াদের মধ্যে তৃতীয় বছরে পদার্পণ করতে যাচ্ছেন ইউন। এ নির্বাচনের সঙ্গে তাঁর সরাসরি কোনো লেনদেন না থাকলেও নিজ দল পিপিপি যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায়, তাহলে তাঁর বিল পাসের সক্ষমতা বাড়বে।

২০২২ সালে করের হার কমানো, ব্যবসাসংক্রান্ত বিধি শিথিল করাসহ বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসেন প্রেসিডেন্ট ইউন। তবে কয়েক মাস ধরে তাঁর জনপ্রিয়তা কমেছে।