অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট ভবনে ধর্ষণের ঘটনায় চাপের মুখে দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশটির সরকার। ধর্ষণের ঘটনার আরেকটি অভিযোগ অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমে প্রকাশের পর আজ এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার। খবর রয়টার্সের।
অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট ভবনে প্রথম ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে গত সপ্তাহে। প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের দল লেবার পার্টির দুই নারী কর্মী অভিযোগ করেছিলেন, একই ব্যক্তি দ্বারা তাঁরা ২০১৯ ও ২০২০ সালে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। এই দুই নারীর মধ্যে একজন প্রকাশ্যে এমন অভিযোগ তোলেন। তিনি ব্রিটানি হিগিন্স। তিনি বলেন, চাকরি হারানোর ভয়ে তখন তিনি অভিযোগ দায়ের করেননি। তিনিসহ আরেক নারীর অভিযোগ দায়েরের কথা। এই পরিস্থিতিতে আরেকটি ধর্ষণের ঘটনা সামনে এসেছে।
আজ সোমবার দেশটির সংবাদপত্র ‘দ্য অস্ট্রেলিয়ান’-এর খবরে বলা হয়েছে, তৃতীয় আরেক নারী ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন। ওই নারী বলেন, লেবার পার্টির এক কর্মী তাঁকে ধর্ষণ করছিলেন। ২০১৬ সালের ২৯ জুন রাত এবং ৩০ জুন সকালে তিনি ধর্ষণের শিকার হন।
নাম না প্রকাশের শর্তে ওই নারী বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি ওই ব্যক্তি যা করেছেন তা যৌন নির্যাতনের শামিল। ওই ব্যক্তি যা করেছিলেন তাতে আমার সম্মতি ছিল না। আমি তখন মাতাল ছিলাম।’ তবে তিনি এ-ও বলেন, পার্লামেন্টের ভবনের বাইরে এই ঘটনা ঘটেছে।
এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর স্কট মরিসনের সরকারের ওপর চাপ আরও বাড়ছে। এরপর এ নিয়ে গতকাল কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী সিমন বার্মিংহাম। তিনি এই তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আমি পূর্ণ স্বাধীনতা চাই। আমি চাই, মানুষের এই বিশ্বাস থাকুক যে এই তদন্ত সত্যিকার অর্থেই স্বাধীনভাবে হয়েছে। এই তদন্ত এমন কিছু নয়, যা কয়েক সপ্তাহ ধরে টানতে হবে।’