অস্ট্রেলিয়ায় ভোট গ্রহণ চলছে, জরিপে মরিসন নয় এগিয়ে আলবানিজ

এ বছর নির্বাচনে প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষ ভোট দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে
ছবি: রয়টার্স

দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বেছে নিতে ভোট দিচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার জনগণ। পূর্বাঞ্চলীয় অস্ট্রেলিয়ায় স্থানীয় সময় আজ শনিবার সকাল আটটা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ২০১৯ সালের পর এটিই দেশটির প্রথম নির্বাচন। খবর বিবিসির।

এবারের নির্বাচনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের বিপরীতে লড়ছেন লেবার নেতা অ্যান্থনি আলবানিজ। জীবনযাপনের ব্যয় বেড়ে যাওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তন—এ দুটি ইস্যুকে এবার ভোটাররা প্রাধান্য দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিভিন্ন জনমত জরিপে দেখা গেছে, এবার সামান্য ব্যবধানে জয় পাবে লেবাররা। যদিও গতবারের নির্বাচনে জনমত জরিপগুলো ভুল প্রমাণিত হয়েছিল।

লিবারেল ন্যাশনাল কোয়ালিশনের নেতা স্কট মরিসন হলেন জন হাওয়ার্ডের পর প্রথম নেতা, যিনি পূর্ণমেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছেন। জন হাওয়ার্ড চারবার নির্বাচনে জয় লাভ করেছিলেন। এরপর ২০০৭ সালে কেভিন রাডের কাছে পরাজিত হন তিনি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মহামারিকবলিত অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্বের হাল ধরেছিলেন মরিসন। প্রথমে নিজের সাফল্যের জন্য প্রশংসা পেলেও পরবর্তী সময়ে পরিকল্পনায় ঘাটতি থাকা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।

নিজ দলের সদস্য থেকে শুরু করে ফরাসি প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত মরিসনের সমালোচনা করেছেন। ইতিমধ্যে নিজের অজনপ্রিয়তার কথা স্বীকার করেছেন স্কট মরিসন। তবে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, নিজেকে পাল্টে ফেলবেন।

মরিসনের প্রতিদ্বন্দ্বী আলবানিজের, ভিন্ন তিন নেতার অধীন প্রায় এক দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা রক্ষণশীল সরকার কাজ করার যথেষ্ট সময় পেয়েছে। তিনি বলেন, ‘এ সরকার প্রায় এক দশক ক্ষমতায় ছিল। এ প্রধানমন্ত্রী চার বছর দায়িত্বে ছিলেন। তিনি বলছেন তাঁকে ভোট দিলে তিনি পাল্টে যাবেন। ভালো কথা। আপনারা যদি বদল চান, তবে সরকার বদল করুন।’

আলবানিজ ভোটারদের কাছে অঙ্গীকার করেছেন তিনি ‘নিরাপদ পরিবর্তন’ নিয়ে আসবেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিরোধী শিবির থেকে প্রচারণা চালানো হচ্ছে তিনি দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো যথেষ্ট অভিজ্ঞ নন। বেশ কিছু আসনে প্রভাবশালী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছ থেকেও চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে দুই দলই।

এ বছর নির্বাচনে প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষ ভোট দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তাঁরা প্রতিনিধি পরিষদের সব আসন এবং সিনেটের অর্ধেকের বেশি আসনের জন্য পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচন করবেন।

নির্বাচনে মূল লড়াই হবে ক্ষমতাসীন লিবারেল ন্যাশনাল কোয়ালিশন ও লেবার দলের মধ্যে। নির্বাচনে জয়ের জন্য ১৫১ আসনবিশিষ্ট প্রতিনিধি পরিষদে অন্তত ৭৬টি আসনে জয় নিশ্চিত করতে হবে। এখান থেকেই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন করা হয়।

কোনো দল যদি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন না করতে পারে, তাহলে স্বতন্ত্র এমপি কিংবা সংখ্যালঘু দলগুলোর সঙ্গে জোট করতে হবে তাদের।