অস্ট্রেলিয়ায় ১০০ বছরে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা

১০০ বছরের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় বন্যার কারণে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ–পূর্ব অঞ্চলে স্থানীয় সময় আজ সোমবার আবার ভারী বৃষ্টি হয়েছে। ১০০ বছরের মধ্যে দেশটিতে বন্যার কারণে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সিডনিতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যও প্লাবিত হয়েছে। সেখানে ৩৮ এলাকা দুর্যোগপূর্ণ বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ১৮ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কুইন্সল্যান্ডেও বন্যার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। খবর এএফপি, বিবিসির।

নিউ সাউথ ওয়েলস অস্ট্রেলিয়ার জনবহুল রাজ্য। সিডনিসহ এখানে বন্যা আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন টুজিবি রেডিও স্টেশনকে বলেছেন, দেশের জন্য এটি একটি বড় পরীক্ষা।

গত ২৪ ঘণ্টায় নিউ সাউথ ওয়েলসে ২৫ সেন্টিমিটারেরও বেশি বৃষ্টি হয়েছে। ৮০ লাখ বাসিন্দাকে অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সম্ভব হলে ঘরে থেকে কাজ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মাত্র এক বছর আগে এখানে খরা, পানির সংকট ও দাবানল হয়।

বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অস্ট্রেলিয়ায় আবহাওয়া এমন বিরূপ হয়ে উঠেছে।

নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রধান গ্ল্যাডিস বেরেজিকলিয়ান বলেছেন, ৩৮টি এলাকা দুর্যোগপূর্ণ জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ১৮ হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গ্ল্যাডিস বেরেজিকলিয়ান বলেন, কোনো দেশের ইতিহাসে এত অল্প সময়ে আবহাওয়া এত চরমভাবাপন্ন হয়ে উঠতে তিনি দেখেননি। মহামারির মধ্যে এমন বিরূপ আবহাওয়া সংকট আরও বাড়িয়েছে।

জরুরি সংস্থাগুলোর কাছে সহযোগিতার জন্য কমপক্ষে ৮ হাজার ৮০০ ফোন এসেছে।
নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের মিড নর্থ কোস্ট বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন রাজ্যে নদীগুলো প্লাবিত হয়েছে।
ছবি: এএফপি

রেজিকলিয়ান ১০০ বছরের মধ্যে এটি অন্যতম বড় দুর্যোগ বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
সিডনির হাওকেসবুরি নেপেয়ান ভ্যালিতে নদীগুলো প্লাবিত হয়েছে। ১৯৬১ সালের পর থেকে নদীর পানি এমন ফুলেফেঁপে ওঠেনি। গত শনিবার বিকেলে সুপেয় পানির উৎস ওরেগামবা বাঁধ ভেঙে যায়।

কর্তৃপক্ষ বলছে, এই রাজ্যে দুই শতাধিক স্কুল বন্ধ রয়েছে। অনেক স্কুল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কুইন্সল্যান্ড রাজ্যেও বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বন্যার কারণে সিডনি ও এর আশপাশের এলাকায় করোনাভাইরাসের টিকাদান স্থগিত রয়েছে।

আরও পড়ুন