অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন আজ মঙ্গলবার করোনার টিকা নিয়েছেন
ছবি: এএফপি

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন। তিনি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

আগামী জুন মাসে জি-৭ সম্মেলনে যোগ দিতে মুনের যুক্তরাজ্য সফরে যাওয়ার কথা। সেই সফর সামনে রেখেই তিনি করোনার টিকা নিলেন।  সফরসঙ্গী হিসেবে যুক্তরাজ্যে যাবেন মুনের স্ত্রী ও নয়জন সহযোগী। তাঁরাও টিকা নিয়েছেন।

৬৮ বছর বয়সী মুন রাজধানী সিউলে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের কাছের একটি কমিউনিটি ক্লিনিকে তাঁর টিকার প্রথম ডোজ নেন।

যুক্তরাজ্য সফরে মুনের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীরও যাওয়ার কথা। এ ছাড়া এই সফরে মুনের সঙ্গে তাঁর নয়জন সহযোগী থাকবেন। সহযোগীদের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রয়েছেন। মুনের কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, মুনসহ যাঁরা যুক্তরাজ্য সফরে যাবেন, তাঁরা সবাই টিকা নিয়েছেন।

জি-৭ সম্মেলনে অতিথি হিসেবে অংশ নেওয়ার জন্য দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

এদিকে দক্ষিণ কোরিয়া করোনার টিকাদান কার্যক্রম আজ আরও সম্প্রসারিত করেছে। তার অংশ হিসেবে দেশটি আরও জ্যেষ্ঠ নাগরিক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকাদানের আওতায় আনছে। এই দফায় দেশটি কেয়ার হাসপাতাল ও নার্সিং হোমের প্রায় তিন লাখ মানুষকে টিকা দেবে। সেখানকার ৬৫ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী ব্যক্তিদের টিকা দেওয়া হবে। পাশাপাশি সেখানকার চিকিৎসাকর্মীদের টিকা দেওয়া হবে।

গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত পেশাজীবী ও গুরুতর অসুস্থ রোগী মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৬ লাখ ৮০ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে।

আগামী জুন মাস নাগাদ দক্ষিণ কোরিয়া সরকার দেশটির মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশকে করোনার টিকা দিতে চায়। আর আগামী নভেম্বর নাগাদ দেশটি হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করতে চায়।

শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার আশঙ্কায় সম্প্রতি বেশ কিছু দেশ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাদান স্থগিত করে। তবে অ্যাস্ট্রাজেনেকা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউরোপীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ও যুক্তরাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা জানায়, এই টিকা নিরাপদ ও কার্যকর। এই টিকার প্রয়োগ বন্ধ না করে তা চালিয়ে যাওয়া উচিত। পরে বিভিন্ন দেশে ফের এই টিকার প্রয়োগ শুরু করে।

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির সঙ্গে যৌথভাবে টিকাটি উদ্ভাবন করেছে যুক্তরাজ্য-সুইডেনভিত্তিক ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা।