আত্মহত্যা নয়, পিটুনিতে মারা যান শ্রীলঙ্কার ওই এমপি

অমরাকীর্থি আথুকোরালা
ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

শ্রীলঙ্কায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে নিহত হন ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য অমরাকীর্থি আথুকোরালা। গত সোমবার তাঁর লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ বলেছিল, বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া খেয়ে নিজের পিস্তল দিয়ে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।

তবে অমরাকীর্থি আথুকোরালার ময়নাতদন্তে বেরিয়ে এসেছে, ব্যাপক পিটুনির শিকার হওয়ায় শরীরের কয়েক জায়গায় গুরুতর জখম হয়েছিল তাঁর। সেসব জায়গা থেকে রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যু হয় এ সংসদ সদস্যের। আজ রোববার শ্রীলঙ্কাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিররের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অর্থনৈতিক সংকটে টালমাটাল শ্রীলঙ্কায় সরকার পতনের দাবিতে মাসখানেকের বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ চলছিল। ৯ মে ক্ষমতাসীন দলের নেতা–কর্মীদের দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজধানীতে আনা হয়। তাঁরা বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালানোয় দেশজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।

দুই পক্ষের সংঘর্ষ–উত্তেজনার মধ্যে রাজধানী কলম্বোর কাছের নিত্তামবুয়া এলাকায় গাড়ি নিয়ে বিক্ষোভকারীদের সামনে পড়েন সংসদ সদস্য অমরাকীর্থি আথুকোরালা। এ সময় বিক্ষোভকারীরা তাঁর গাড়ির গতি রোধ করলে তিনি গুলিবর্ষণ করেন। ঘটনাস্থলে একজন নিহত হন। পরে ঘটনাস্থলের কিছু দূরে তাঁর লাশ পাওয়া যায়। সে সময় পুলিশ বলেছিল, সংঘর্ষের একপর্যায়ে কাছের একটি ভবনে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করেন ওই এমপি। সেখানে বিক্ষোভকারীদের ঘেরাওয়ের মধ্যে পড়ে নিজের পিস্তল দিয়ে গুলিবর্ষণ করে আত্মহত্যা করেন তিনি।

৯ মে ওই বিক্ষোভ–সহিংসতার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়েন মাহিন্দা রাজাপক্ষে। বিক্ষোভকারীরা কলম্বোয় তাঁর সরকারি বাসভবনেও ঢুকে পড়েন। একপর্যায়ে সেনা পাহারায় সেখান থেকে পরিবারসহ হেলিকপ্টারে করে একটি নৌঘাঁটিতে গিয়ে আশ্রয় নেন তিনি। ওই দিন হাম্বানটোটায় রাজাপক্ষের পৈতৃক বাড়ি ছাড়াও মন্ত্রী–এমপি ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের অর্ধশতাধিক বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।