আফগানিস্তানে নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না নারী কর্মীদের

আফগান নারী
ফাইল ছবি: রয়টার্স

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে অবস্থিত দেশটির নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভবনে নারী কর্মীদের ঢুকতে দিচ্ছে না তালেবান। ভবনটিতে শুধু পুরুষদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের এক কর্মীর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএনআই।

মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মী রুশ বার্তা সংস্থা স্পুতনিককে জানান, কাবুলের নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে চার নারীকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। পরে তাঁরা এর প্রতিবাদ জানিয়ে মন্ত্রণালয়ের কাছে বিক্ষোভ করেন। তবে ওই কর্মীর পরিচয় প্রকাশ করেনি স্পুতনিক।

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা দখলের প্রথম মেয়াদে নারীদের অধিকার চরমভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছিল। গত মাসে আবার ক্ষমতা দখলের পর থেকেই নারী অধিকার রক্ষায় নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছিল তালেবান। তবে দেশটিতে নারীরা আবার অনিশ্চয়তার মুখে পড়তে যাচ্ছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

তালেবান ক্ষমতায় আসার পর নারী অধিকার নিয়ে সংগঠনটির মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, ইসলামের ওপর ভিত্তি করে নারীদের অধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তালেবান। স্বাস্থ্য খাতসহ অন্য যেসব খাতে তাঁদের প্রয়োজন রয়েছে, সেখানে তাঁরা কাজ করতে পারবেন। নারীদের প্রতি কোনো বৈষম্য করা হবে না।

নারীদের অধিকার নিয়ে তালেবান নানা কথা বললেও এর প্রতিফলন তেমন ঘটছে না সংগঠনটির কাজকর্মে। চলতি মাসের শুরুতে আফগানিস্তানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে তালেবান। সেখানে রাখা হয়নি কোনো নারী সদস্যকে। যদিও তারা প্রথম থেকে অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছিল।

এ ছাড়া তালেবানের হাতে কাবুলের পতনের পর থেকে নিজেদের অধিকার আদায়ের দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছিলেন দেশটির নারীরা। সেসব বিক্ষোভের ওপর হামলা চালিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এমনকি বিক্ষোভের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে বেদম মারধরের শিকার হয়েছেন সাংবাদিকেরা।

তালেবানের অধীন নারীদের পড়ালেখা ও খেলাধুলার ওপরও খড়্গ নেমে এসেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারী-পুরুষের সহশিক্ষা কার্যক্রমের ওপর জারি করা হয়েছে নানা বিধিনিষেধ। সম্প্রতি তালেবানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আফগানিস্তানের ৪০০ রকম খেলার অনুমোদন দেওয়া হবে। তবে এসব খেলায় নারীরা আদৌ অংশ নিতে পারবে কি না, সে সম্পর্কে কিছুই জানায়নি সংগঠনটি।