আফগানিস্তানে পাহাড়ি এলাকায় উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত

প্রতীকী ছবি। রয়টার্স
প্রতীকী ছবি। রয়টার্স

আফগানিস্তানের গজনি প্রদেশে একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার স্থানীয় সময় দুপুরে উত্তর আফগানিস্তানের পাহাড়বেষ্টিত এই প্রদেশে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি।

বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গজনির গভর্নরের মুখপাত্র আরেফ নুরি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এএফপিকে তিনি বলেছেন, স্থানীয় সময় বেলা ১টা ১০ মিনিটের দিকে গজনির দেহ ইয়াক জেলায় উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনার পর উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। গ্রামবাসী সঙ্গে সঙ্গে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে।

বিধ্বস্ত হওয়া উড়োজাহাজটি যাত্রীবাহী, নাকি সামরিক, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে অবশ্য এটিকে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বলা হয়েছে।

বিধ্বস্ত হওয়া উড়োজাহাজটি কোন এয়ারলাইনসের, সেটিও এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আফগান সরকারের তিন কর্মকর্তা প্রাথমিকভাবে বলেছিলেন, উড়োজাহাজটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আরিয়ানা আফগান এয়ারলাইনসের। তবে এমন দাবি নাকচ করে দিয়েছে আরিয়ানার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মিরওয়াইস মির্জাকাল। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেছেন, ‘আরিয়ানার যে দুটি উড়োজাহাজ আজ উড্ডয়ন করেছিল (হেরাত থেকে কাবুল ও হেরাত থেকে দিল্লি), সেগুলো নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছেছে। যে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়েছে, সেটি আরিয়ানা এয়ারলাইনসের নয়।’

প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে প্রায়ই উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে থাকে। দেশটিতে খারাপ আবহাওয়ার কারণে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১০ সালের মে মাসে। কুন্দুজ থেকে কাবুলে যাওয়ার পথে পামির এয়ারওয়েজের উড়োজাহাজটি ৩৮ জন যাত্রী ও ৬ জন ক্রু নিয়ে কাবুল থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে বিধ্বস্ত হয়।