আফগানিস্তানে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬০, নিখোঁজ অনেকে

আফগানিস্তানে ২০২০ সালে বন্যায় প্রাণ হারিয়েছিল ১৬২ জন
ফাইল ছবি: এএফপি

আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় নারী, শিশুসহ কমপক্ষে ৬০ জন প্রাণ হারিয়েছে। দেশটির নুরিস্তান প্রদেশে প্রচুর বৃষ্টিপাতের ফলে এই বন্যার সৃষ্টি হয়। এতে অনেক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। সেখানে অনেক বাসিন্দা এখনো কাদা ও বিধ্বস্ত ঘরবাড়িতে অবস্থান করছে। এলাকার শত শত মানুষ এখনো নিখোঁজ।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, নুরিস্তানের কামদেশ এলাকা এখন তালেবানের নিয়ন্ত্রণে। সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র এই গোষ্ঠীর লড়াই এখনো চলছে। ভারী বৃষ্টির ফলে আকস্মিক বন্যায় এই এলাকায় স্বাভাবিক সময়েই পৌঁছানো বেশ কঠিন। সংঘর্ষের কারণে পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরপরও উদ্ধারকারী দল সেখানে যেতে তালেবানের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

আফগানিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কমপক্ষে ৬০ জন প্রাণ হারিয়েছে। তবে তালেবানরা বলেছে, বন্যায় প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে ১৫০ জন। কামদেশে কর্মরত এক প্রকৌশলী এক আফগান সাংবাদিককে বলেছেন, সেখানে মৃত্যু ২০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে।

এদিকে বন্যার পর তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা নিজেদের উদ্ধারকারী দল সেখানে পাঠিয়েছে। এ ছাড়া ওই এলাকার বাসিন্দাদের সহায়তা করতে ৬২ হাজার ডলার ত্রাণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তালেবান।

আফগানিস্তানে এমন সময়ে এই বন্যা হচ্ছে, যখন দেশটির সরকারি বাহিনী ও তালেবানের মধ্যে লড়াই চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহার শুরুর পর থেকে এই লড়াইয়ের তীব্রতা বেড়েছে। এর মধ্য দিয়ে অনেক নতুন নতুন এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তালেবান।

আফগানিস্তানে মৌসুমি বৃষ্টি থেকে বন্যার ঘটনা এই প্রথম নয়। সাধারণত নিষ্কাশনব্যবস্থা সঠিক না হওয়ায় এমন বন্যা হয়ে থাকে। এ ছাড়া দেশটির প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাড়িগুলো যেনতেনভাবে নির্মাণ করা হয়। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি থাকে। এর ফলে প্রতিবছরই দেশটিতে বন্যায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।