আফগানিস্তানের জন্য সব বিকল্প থাকবে: যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন
ফাইল ছবি, এএফপি

যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, আফগানিস্তানের জন্য আলোচনার টেবিলে সব রকমের বিকল্প থাকবে। তবে আফগানিস্তানে থাকা আড়াই হাজার সেনার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

আফগানিস্তানে শান্তি আলোচনার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের বক্তব্যের পর তাঁদের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে এমন মন্তব্য করা হলো।

আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনিকে লেখা ব্লিনকেনের একটি চিঠি সম্প্রতি আফগান সংবাদমাধ্যম টোলোনিউজে প্রকাশিত হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসেও চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী মে মাসের আগেই আফগানিস্তান থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করে নেবে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দপ্তরের এক মুখপাত্র আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সের কাছে চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করে কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি। তবে তিনি বলেন, ‘১ মের পর আফগানিস্তানে আমাদের কোনো সেনা থাকবে কি না, এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কিন্তু আলোচনার জন্য সব বিকল্প খোলা থাকবে।’

ওই চিঠির তথ্যমতে, আফগানিস্তানের সমস্যা সমাধানে এবং এই পরিস্থিতি থেকে বের হতে স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে উচ্চপর্যায়ের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা প্রত্যাশা করছে যুক্তরাষ্ট্র।

রয়টার্সের দেওয়া তথ্যমতে, চিঠিতে বলা হয়েছে আফগানিস্তানে শান্তি আলোচনা চালাতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জাতিসংঘের কাছে রাশিয়া, চীন, পাকিস্তান, ইরান, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একত্র করার আহ্বান জানানো হবে। চিঠিতে আরও বলা হয়, উচ্চপর্যায়ের এই বৈঠক আয়োজনের জন্য তুরস্ককে আহ্বান জানাবে যুক্তরাষ্ট্র।

সাম্প্রতিক সময়ে আফগানিস্তানে হামলা বেড়ে গেছে। এসব হামলায় হতাহতের সংখ্যাও অনেক। আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, সেনা প্রত্যাহার হলে ওই অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। তালেবান সেনারা আরও এলাকা নিজেদের দখলে নিয়ে যাবে। ব্লিনকেন বলেন, ‘আমি আশা করছি, প্রেসিডেন্ট গনি আমার কথার গুরুত্ব বুঝতে পারবেন।’