‘আমিরাত পুরো মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে’

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি
ছবি: রয়টার্স

‘চিরশত্রু’ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের চুক্তি করায় সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইএইউ) পুরো মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।

ঐতিহাসিক ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের একদল কূটনীতিক আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে পৌঁছানোর এক দিন পর গতকাল মঙ্গলবার খামেনি এ অভিযোগ করেন।

এদিকে আর্থিক সেবা খাতে সহায়তা করতে আমিরাত ও ইসরায়েল গতকাল একটি যৌথ কমিটি গঠনে সম্মত হয়েছে।

নিজের সরকারি টুইটার অ্যাকাউন্টে আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেন, ‘ইএইউ মুসলিম বিশ্ব, আবর জাতি ও এই অঞ্চলের দেশগুলো এবং ফিলিস্তিনের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।’ আরেকটি টুইটে তিনি বলেন, ‘যদিও এই বিশ্বাসঘাতকতা স্থায়ী হবে না, তবু এই কলঙ্ক থেকে যাবে।’

গত ১৩ আগস্ট ইসরায়েল ও আমিরাতের মধ্যে একটি চুক্তির ঘোষণা করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় করা চুক্তির বিষয়ে ওই সময় দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, চুক্তির শর্তমতে, ইসরায়েল দখল করা পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের জমিতে আর ইহুদি বসতি সম্প্রসারণ করবে না। বিনিময়ে আমিরাত দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে।

১৯৬৭ সালে যুদ্ধের সময় আমিরাতের যেসব ভূমি দখল করেছিল ইসরায়েল, তা ফেরত দেওয়ার কোনো শর্ত নেই চুক্তিতে।

ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ এই চুক্তিকে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে বর্ণনা করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে।

যদিও পরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি স্থাপন কার্যক্রম থেকে তাঁরা সরে আসেননি।

আমিরাতের শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ইঙ্গিত করে খামেনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, আমিরাতের জনগণ খুব শিগগিরই জেগে উঠবে এবং তাঁরা যে কাজ করেছেন, তার মাশুল চাইবেন। আমিরাতের শাসকেরা ইহুদিদের জন্য এ অঞ্চলের দ্বার খুলে দিয়েছেন এবং ফিলিস্তিনের বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন।’

ইসরায়েল ও আমিরাতের মধ্যে চুক্তির পর এটাই ইরানের সর্বোচ্চ নেতার প্রথম প্রতিক্রিয়া। এর আগে ইরানের সরকার চুক্তির বিরোধিতা করে বলেছে, এটা মুসলিম বিশ্বকে পেছন থেকে ছুরিকাঘাত। এ চুক্তি ফিলিস্তিনসহ মুসলিম বিশ্ব মেনে নেবে না।

খামেনির ওই বক্তব্যের আগের দিন প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইটে তেল আবিব থেকে আবুধাবি পৌঁছায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের একটি প্রতিনিধিদল।