আল-আকসা মসজিদ চত্বরে আবারও সংঘর্ষ

ইসরায়েলের দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে পবিত্র আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে আবারও সংঘর্ষ হয়েছে। তবে সংঘর্ষের ঘটনায় হতাহতের খবর নিশ্চিত হওয়া যায়নি
ফাইল ছবি: এএফপি

১০ দিন শান্ত থাকার পর আজ বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে পবিত্র আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে আবারও সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষ নিয়ে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। তবে সর্বশেষ সংঘর্ষের ঘটনায় হতাহতের খবর নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ইসরায়েলি পুলিশ বলছে, ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এএফপির সংবাদদাতা জানিয়েছেন, মসজিদের সামনে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট এখনো সংঘর্ষের ঘটনায় হতাহতের খবর দেয়নি।

এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ইসরায়েলি পুলিশ এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ৩০০ জন আহত হয়েছে। আটক করা হয়েছে কয়েক শ।

আল–আকসা মসজিদ সারা বিশ্বের মুসলিমদের কাছে তৃতীয় পবিত্র স্থান। আর ইহুদিদের কাছেও এটি পবিত্র স্থান। তাঁদের কাছে এটি ‘টেম্পল মাউন্ট’ হিসেবে পরিচিত। সম্প্রতি ওই পবিত্র স্থানে ইহুদিদের আগমন বেড়ে যাওয়ায় নাখোশ মুসলিমরা। তাঁরা সেখানে ইহুদিদের প্রবেশ ঠেকাতে চান।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার লাপিড বলেছেন, পবিত্র আল–আকসা নিয়ে ইহুদি রাষ্ট্র তাদের বিদ্যমান নীতি ‘বদলাবে না’।

গত সপ্তাহে গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলকে হুমকি দিয়েছিল, যদি ইসরায়েলি বাহিনী আল-আকসায় আরও অভিযান চালায়, তাহলে তারা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাবে।

ফিলিস্তিনিদের উদ্দেশে হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার বলেছেন, ‘(ইসরায়েলি) দখলদারেরা যদি আল-আকসা মসজিদে হামলা বন্ধ না করে তাহলে আপনাদের একটি বড় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত।’

গত ২২ মার্চ থেকে সহিংসতায় ইসরায়েলে ৪টি পৃথক হামলায় একজন ইসরায়েলি পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১২ ইসরায়েলি এবং দুই ইউক্রেনীয় নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে তেল আবিব এলাকায় দুটি ভয়াবহ হামলা চালানো হয়। ওই সময় থেকে মোট ২৬ জন ফিলিস্তিনি এবং তিনজন ইসরায়েলি আরব মারা গেছেন। ইসরায়েলের দাবি, ইসরায়েলে হামলায় ফিলিস্তিনিরা জড়িত। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজন হামলায় জড়িত ছিলেন।