ইউক্রেনের মতো অস্ত্র সহায়তা চায় মিয়ানমারের ছায়া সরকার

মিয়ানমার পিপলস ফোর্সের (পিডিএফ) গেরিলা সদস্যরা। ছবিটি গত বছরের শেষ দিনে তোলা
ছবি: রয়টার্স

মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে দেশটির ছায়া সরকার (জাতীয় ঐক্যের সরকার)। সেই ছায়া সরকারকে অস্ত্র সহায়তা দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তাদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী।

ন্যাটোতে যোগ দিতে চায় ইউক্রেন। ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দিলে নিরাপত্তার সমস্যা হতে পারে, এ অভিযোগে দেশটিতে হামলা শুরু করে রাশিয়া। এরপর যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশ সামরিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনকে।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ছায়া সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়ে মোন রাশিয়ার বাহিনীকে মোকাবিলায় ইউক্রেনকে যেভাবে সহায়তা করা হচ্ছে, সেই ধরনের সহায়তা চেয়েছেন।

তিনি বলেন, ইউক্রেন ও মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থীরা স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়ে লড়াই করছেন। ইউক্রেনের জনগণ ও মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থীরা সশস্ত্র যোদ্ধা। তাঁরা সবাই লড়াই করে যাচ্ছেন। কিন্তু আমরা যারা মিয়ানমারের সুসজ্জিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছি, তাদের আন্তর্জাতিক সংহতি বেশি প্রয়োজন।’

রয়টার্সের কাছে পাঠানো হাতে লেখা বিবৃতিতে ইয়ে মোন আরও বলেন, ‘মিয়ানমারের জন্য আন্তর্জাতিক অবস্থান আমাদের জন্য নৈতিক সমর্থন। আমরা এর জন্য কৃতজ্ঞ। কিন্তু সামরিকসহ অন্যান্য সহায়তাও আমাদের বেশি প্রয়োজন। আর সেই সহায়তার মাধ্যমে, আমরা জনগণ ও তাদের সম্পত্তির ক্ষতি কমিয়ে দ্রুত বিপ্লব শেষ করতে সক্ষম হব।’

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান হয়। এর কয়েক দিন পর থেকেই জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো দেশ।

এপ্রিলে মিয়ানমারে চলমান সেনাশাসনের অবসান ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে ‘ছায়া সরকার’ গঠন করে অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সংসদ সদস্যদের জোট। এই ছায়া সরকারে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) পাশাপাশি দেশটির ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর রাজনীতিকেরাও রয়েছেন। তাঁরা আত্মগোপনে থেকে এ ছায়া সরকার পরিচালনা করছেন।