ইন্টারপোল প্রধান হলেন নির্যাতনের দায়ে অভিযুক্ত আমিরাতের জেনারেল

জেনারেল আহমেদ নাসের আল-রাইসি
ফাইল ছবি: রয়টার্স

নির্যাতনের মামলায় অভিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের সেনাবাহিনীর জেনারেল আহমেদ নাসের আল-রাইসি আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। আহমেদ নাসের আল-রাইসি আগামী চার বছর ইন্টারপোলের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি আমিরাতের নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান ছিলেন। খবর বিবিসির।

আমিরাতের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের তদন্ত না করায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। এই অভিযোগের কারণে রাইসির প্রার্থিতার বিরোধিতাও করে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। তবে রাইসি তাঁর বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাইসির বরাত দিয়ে জানিয়েছে, পুলিশের বিরুদ্ধের আনা নিপীড়ন ও নির্যাতনগুলো অসহনীয় এবং ঘৃণ্য ছিল বলে তিনি বিশ্বাস করেন।

তবে ইন্টারপোলের সাংগঠনিক কাঠামোতে আল-রাইসির পদটি আলংকারিক। তাঁর দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে নির্বাহী কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করা। অপর দিকে সংগঠনটির দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব মহাসচিব ইওর্গেন স্টকের।

ফ্রান্সভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা দ্য গালফ সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটসের (জিসিএইআর) গবেষক হিবা জায়েদিন রাইসির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার ঘটনাকে বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার ও আইনের জন্য দুঃখজনক দিন বলে আখ্যায়িত করেন। জিসিএইআরের আইনজীবী সম্প্রতি জেনারেল রাইসির বিরুদ্ধে ফ্রান্স ও তুরস্কে মানবাধিকার লঙ্ঘনের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেন।

এতে অভিযোগ করা হয়, ২০১৭ সালে আমিরাতের একজন প্রসিদ্ধ ভিন্নমতাবলম্বী নেতা আহমেদ মনসুরকে আটক করে যে নির্যাতন চালানো হয়েছিল, তার পেছনে আহমেদ নাসের আল-রাইসির হাত রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশের সম্মানহানির অভিযোগে আহমেদ মনসুরকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় তখন।

চলতি মাসে জার্মানির সংসদের তিনজন সদস্য এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, জেনারেল আল-রাইসিকে নিয়োগ করা হলে ইন্টারপোলের সুনাম বিনষ্ট হবে। কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরাত এই আশঙ্কা নাকচ করে বলেছে, ইউএই ‘বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ দেশগুলোর একটি’ এবং সে জন্য তারা গর্বিত।