ইন্দোনেশিয়ায় গির্জার কাছে বোমা বিস্ফোরণ

ইন্দোনেশিয়ায় গির্জার কাছে বোমা বিস্ফোরণের পর পুলিশের সতর্ক অবস্থান
ছবি: এএফপি

ইন্দোনেশিয়ার মাকাসার শহরে এক গির্জার বাইরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববারের এ বিস্ফোরণে বেশ কিছুসংখ্যক মানুষ হতাহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে হতাহতের সুনির্দিষ্ট সংখ্যা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। দুজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী এ ঘটনায় জড়িত বলে সন্দেহ করছে পুলিশ।

এএফপির খবরে জানা যায়, মাকাসার পুলিশের মুখপাত্র আর্গো ইউওনো জানান, চার্চের প্রধান ফটকে যখন হামলা হয়, তখন সেখানে মোটরবাইকে দুজন ছিলেন। তাঁরা চার্চের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। হামলার পর মোটরবাইকটি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। সেখানে হতাহত ব্যক্তিদের দেহের বিভিন্ন অংশ ছড়িয়ে ছিল। তাঁরা সেগুলোর ভিত্তিতে হামলাকারীদের শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, বর্তমানে ঘটনাস্থলে কড়া পুলিশি পাহারা রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পুরো গির্জা ঘিরে রেখেছেন। আজ রোববার থেকেই ইন্দোনেশিয়ায় পবিত্র ইস্টার সপ্তাহ শুরু হয়েছে। এর প্রথম দিনই এমন বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল।

ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ সুলাওয়েসি এলাকার পুলিশের মুখপাত্র ই জুলপান বলেন, ‘একটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে এবং আমরা এটিকে বোমা বলেই মনে করছি। আমরা মানবদেহের যেসব অংশ পেয়েছি, সেগুলো আত্মঘাতী হামলাকারীর নাকি পথচারীর, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কিছু আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।’

গির্জায় থাকা সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বিস্ফোরণের পরপরই বেশ ধোঁয়া সৃষ্টি হয় এবং রাস্তার মধ্যে ধ্বংসস্তূপ দেখা যায়। এখনো পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায় স্বীকার করেনি। অন্যদিকে কে বা কারা দায়ী, সে সম্পর্কে কিছু বলেনি পুলিশও।

ঘটনাস্থলে গির্জার যাজক উইলহেমুস তিলাক স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোকে জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন আত্মঘাতী হামলাকারী মোটরসাইকেল নিয়ে গির্জা প্রাঙ্গনে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। তবে নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে বাধা দেন। বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানান উইলহেমুস।

তবে এ হামলার জন্য জামাহ আনশারুত দৌলা (জেএডি) নামের একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের দিকে আঙুল তোলা হচ্ছে। এ সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেটে অনুপ্রাণিত একটি সংগঠন। ২০১৮ সালে সুরাবায়া শহরে গির্জা ও পুলিশের টহলকেন্দ্রে হামলা চালানোর অভিযোগ আছে এ সংগঠনের বিরুদ্ধে। ওই হামলায় ৩০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।