ইরানে ইউক্রেনের উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় কয়েকজন গ্রেপ্তার

ইরানে বিধ্বস্ত হওয়া ইউক্রেনের উড়োজাহাজ। ছবি: এএফপি
ইরানে বিধ্বস্ত হওয়া ইউক্রেনের উড়োজাহাজ। ছবি: এএফপি

ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইউক্রেনের যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় প্রথমবারের মতো কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে। তবে ঠিক কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা নিশ্চিত করেনি ইরান।

সংবাদ সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ মঙ্গলবার ইরান ঘোষণা করেছে, গত সপ্তাহে ইউক্রেনের যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ ভূপতিত হওয়ার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদের পর গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে।

গত বুধবার সকালে তেহরানের ইমাম খোমেনি বিমানবন্দর থেকে ওড়ার পরপরই উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। এতে যাত্রী, ক্রুসহ ১৭৬ নিহত হন।

টেলিভিশন সংবাদ সম্মেলনে ইরানের বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওই উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় প্রথমবারের মতো গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে। তবে গ্রেপ্তার ব্যক্তির সংখ্যা নির্দিষ্ট করা হয়নি।

বিচার বিভাগের মুখপাত্র গোলামহোসেইন ইসমাইলি বলেন, ওই ঘটনায় তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এদিকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, উড়োজাহাজ বিপর্যয়ের ঘটনায় দায়ী প্রত্যেককে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘটনা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে দায়িত্বে অবহেলার জন্য বা দোষী ব্যক্তি যেকোনো পর্যায়ের হোক না কেন, তাঁকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। দোষী ব্যক্তি যে-কারও শাস্তি হওয়া উচিত, অবশ্যই শাস্তি হবে।’

হাসান রুহানি বলেন, বিচার বিভাগকে অবশ্যই উচ্চ পর্যায়ের বিচারক ও কয়েক ডজন বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে একটি বিশেষ আদালত গঠন করতে হবে, যা সারা বিশ্ব দেখতে পারবে।

এদিকে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় পরিপূর্ণ ও স্বচ্ছ তদন্ত নিশ্চিত করার বিষয়ে আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে আছে ইরান।

প্রসঙ্গত, তেহরানে ওই উড়োজাহাজ ভূপতিত হওয়া পর বিবিসির খবরে বলা হয়েছিল, ইউক্রেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস নামের বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে যাচ্ছিল। এতে ক্রুসহ যাত্রী ছিলেন ১৮০ জন।