উত্তর কোরিয়ার নতুন ক্ষেপণাস্ত্র যে কারণে শত্রুপক্ষকে দুশ্চিন্তায় ফেলবে

উত্তর কোরিয়ার পরীক্ষা চালানো নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র
ছবি: রয়টার্স

উত্তর কোরিয়া নিশ্চিত করে বলেছে, তারা সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য নতুন ধরনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। আজ বুধবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ জানায়, যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়েছে, সেটি উন্নত নিয়ন্ত্রণ নির্দেশিকাসংবলিত প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি, যা এই ক্ষেপণাস্ত্রের গতিপথ অনুসরণের (ট্র্যাক) বিষয়কে কঠিন করে তুলতে পারে।

উত্তর কোরিয়া সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য নতুন ধরনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে
ছবি: রয়টার্স

এ কারণে উত্তর কোরিয়ার নতুন ধরনের এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র শত্রুপক্ষের জন্য বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারে।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় উত্তর কোরিয়া হাইপারসনিক ও দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি বিমানবিধ্বংসী অস্ত্রেরও পরীক্ষা চালানোর দাবি করেছে।

কঠোর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই উত্তর কোরিয়া তার পরমাণুসহ অন্যান্য অস্ত্রের কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর ব্যাপারে উত্তর কোরিয়ার ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

সবশেষ গতকাল মঙ্গলবার সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য নতুন ধরনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে উত্তর কোরিয়া। জাপান উপকূলের জলসীমা বরাবর এটি ছোড়া হয় বলে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী জানায়।

ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বেশি হুমকিস্বরূপ হিসেবে বিবেচিত। কারণ, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র অধিক শক্তিশালী ‘পেলোড’ (রকেটে চালিত বিস্ফোরক) বহন করতে পারে। দূরপাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র দ্রুত উড়তে পারে।

আজ উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বলা হয়, নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটিতে নতুন নিয়ন্ত্রণ ও লক্ষ্যভেদী প্রযুক্তি রয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের আরও কিছু বিশেষ সুবিধা রয়েছে।

পরীক্ষা চালানো নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটির ছবিও প্রকাশ করেছে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।

নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাসংক্রান্ত প্রতিবেদনে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের নাম উল্লেখ করা হয়নি। এতে প্রতীয়মান হয়, পরীক্ষা চালানোর কার্যক্রমে তাঁর অংশগ্রহণ ছিল না।

কিম জং-উন সম্প্রতি বলেছিলেন, তিনি কোরিয়ান উপদ্বীপে আবার যুদ্ধ শুরু করতে চান না। তবে তিনি এ কথাও বলেন, শত্রুর বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার জন্য তাঁর দেশের অস্ত্রের উন্নয়ন অব্যাহত রাখা জরুরি। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে শত্রুতার অভিযোগ আনেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বারবার বলে আসছেন, তাঁরা উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহী। তবে এর আগে উত্তর কোরিয়াকে তার পারমাণবিক অস্ত্রের কর্মসূচি ত্যাগ করতে হবে। তারপরই কেবল নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হবে। কিন্তু উত্তর কোরিয়া এই দাবি মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।