উনের তত্ত্বাবধানে নতুন 'শক্তিশালী যুদ্ধাস্ত্রের' মহড়া

কিম জং-উনের তত্ত্বাবধানে পারমাণবিক অস্ত্রের মহড়া চালানো হয়েছে। ছবি: এএফপি।
কিম জং-উনের তত্ত্বাবধানে পারমাণবিক অস্ত্রের মহড়া চালানো হয়েছে। ছবি: এএফপি।

উত্তর কোরিয়া ‘শক্তিশালী যুদ্ধাস্ত্রসহ’ নতুন একটি কৌশলগত অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। দেশটির নেতা কিম জং-উন তা পর্যবেক্ষণ করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএর তথ্যের বরাতে রয়টার্সের খবরে এ কথা জানানো হয়।

দেশটির জাতীয় গণমাধ্যমের বরাতে বলা হয়, ওয়াশিংটনের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সমঝোতা স্থগিত হওয়ার পর এই প্রথম কোনো পারমাণবিক মহড়া চালাল উত্তর কোরিয়া।

ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে সর্বসম্মত কোনো চুক্তি ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্র-উত্তর কোরিয়ার দ্বিতীয় দফার বৈঠক ভেস্তে যায়। এ ঘটনার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার এ ধরনের পরীক্ষা দুই দেশের মধ্যে চাপা উত্তেজনার উদ্রেক করেছে। এর আগে স্যাটেলাইট ছবির মাধ্যমে ইয়ংবিয়ন পারমাণবিক স্থাপনায় সক্রিয়তার প্রমাণ মিলেছে।

গতকাল বুধবারের পারমাণবিক পরীক্ষাটি ‘বিভিন্ন লক্ষ্যে তাক করে বিভিন্ন মোডে পরিচালিত হয়’। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ জানায়, কিম নিজে ‘এই পরীক্ষামূলক কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন’। প্রতিবেদনে বলা হয়, কিম এই অগ্রগতিকে ‘পিপল’স আর্মির লড়ার ক্ষমতা বাড়াতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

কেসিএনএর মতে, এই অস্ত্রের ‘সুবিধা’ হলো ‘নির্দেশিকা ফ্লাইট এবং শক্তিশালী ওয়ারহেড উত্তোলনের বিশেষ পদ্ধতি’র সংযোজন। প্রতিবেদনে অস্ত্রটির বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়নি। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী উত্তর কোরিয়ার নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রের গতিবিধি অনুসরণ করেছে। এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি দেশ দুটি।

উত্তর কোরিয়া বিশেষজ্ঞ অঙ্কিত পান্ডা বলেন, বর্ণনা শুনে যত দূর মনে হচ্ছে, ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। কিন্তু এটা ছোট ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র থেকে শুরু করে ভূপৃষ্ঠ থেকে শূন্যে উৎক্ষেপিত ক্ষেপণাস্ত্র বা রকেট দাগার ব্যবস্থাও হতে পারে।

সপ্তাহের শুরুর দিকে দ্য সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ ইয়ংবিয়নে পারমাণবিক চুল্লি ব্যবহারের প্রমাণ পেয়েছে। ইয়ংবিয়ন দেশটির প্রথম পারমাণবিক স্থাপনা, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র কার্যক্রমের প্রধান উপকরণ প্লুটোনিয়ামের একমাত্র উৎস এটি। পিয়ংইয়ংয়ে তেজস্ক্রিয় পদার্থকে বোমা তৈরির জ্বালানিতে রূপান্তর করার আভাস পাওয়া গেছে।

গত ফেব্রুয়ারিতে হ্যানয় বৈঠক ফলপ্রসূ না হওয়ার জন্য উত্তর কোরিয়াকে দায়ী করেছে ওয়াশিংটন। সীমিত পরিসরে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের বিনিময়ে নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি বিলোপে উত্তর কোরিয়ার প্রস্তাব মেনে নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। তবে পিয়ংইয়ং বলছে, তারা কেবল কিছু পদক্ষেপ শিথিল করার দাবি জানিয়েছিল। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন বলেন, ‘যথাযথ মনোভাব’ নিয়ে আলোচনায় অংশ নিলে ট্রাম্পের সঙ্গে তৃতীয় দফা বৈঠকে বসতে রাজি তিনি।