উৎসব যখন বানরদের নিয়ে

থাইল্যান্ডে উৎসবে মেতেছে বানরেরা
রয়টার্স

চারপাশে উৎসবের আমেজ। বিশাল এলাকাজুড়ে থরে থরে সাজিয়ে রাখা নানান সবজি ও ফল। রংবেরঙের পোশাক পরে হাজির হয়েছেন হাজারো দেশি-বিদেশি পর্যটক ও দর্শনার্থী। নেচে-গেয়ে চলছে উৎসব। বানরদের ঘিরে, বানরদের জন্যই এই সুবিশাল আয়োজন।

গতকাল রোববার বিচিত্র এই উৎসবের আয়োজন করা হয় থাইল্যান্ডের মধ্যাঞ্চলের লোপবুরিতে। প্রতিবছরই এখানে বানরদের নিয়ে এই উৎসব বসে। তবে করোনা মহামারির জন্য মাঝে দুই বছর বার্ষিক এই উৎসব হয়নি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, উৎসবস্থলে বানরদের জন্য প্রায় দুই টন সবজি ও ফল সাজানো হয়েছিল। তরমুজ, আনারস, গাজর, শসা, ড্রাগন ফল, ডুরিয়ান, কলা—এমন নানান পদে আপ্যায়ন করা হয়েছে বানরদের। কয়েক শ ম্যাকাকুয়েজ প্রজাতির লম্বা লেজের বানর মেতেছিল উৎসবে। এ সময় বানরদের পেট ভরে খেতে দেখা যায়। স্বভাবসুলভ লাফালাফিও করতে দেখা যায়। বানররা খেলায় মাতে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের সঙ্গে। পর্যটকদের ঘাড়ে চড়ে ঘুরেছেও অনেক বানর।

থাইল্যান্ডের ওই এলাকায় প্রচুর বানরের বাস। আর বানর দেখতে এখানে ছুটে আসেন অনেক পর্যটক। অনেকের কাছে এই এলাকা থাইল্যান্ডের ‘বানর প্রদেশ’ নামে পরিচিত। তাই পর্যটক আকর্ষণে প্রতিবছর স্থানীয় লোকজন এই বানর উৎসব আয়োজন করেন। এবারের উৎসব আয়োজনে ১ লাখ থাই বাথের বেশি অর্থ খরচ হয়েছে।

৩০টির বেশি বানর উৎসব আয়োজনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন ইউনগুথ কিতওয়াতানা। তিনি বলেন, এবারের আয়োজনে বানরদের জন্য ডুরিয়ানের মতো দামি ফল রাখা হয়েছে। লম্বা লেজের বানর এই ফল খুব পছন্দ করে।

আফ্রিকার দেশ মরক্কো থেকে থাইল্যান্ডে এসে বানর উৎসবে যোগ দেন আইয়ুব বুখারি। তিনি রয়টার্সকে বলেন, ‘আমি এই উৎসবে এসে ভীষণ মজা পেয়েছি।’