এবার কাবুলে মসজিদে বিস্ফোরণ, নিহত ১২

আফগান সরকার ঘটনা তদন্ত করছে বলে জানিয়েছে
ফাইল ছবি

আফগানিস্তানে আজ শুক্রবার মসজিদে বিস্ফোরণে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। দেশটির রাজধানী কাবুলের উপকণ্ঠে একটি মসজিদে নামাজ আদায়ের সময় এ ঘটনা ঘটে।

দেশটিতে কয়েক দিন ধরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। এমনকি দুটি শহরও তালেবান দখল করে নিয়েছে।

ঈদ উপলক্ষে গত সোমবার দেশটিতে তিন দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে তালেবান। যুদ্ধবিরতি শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গতকাল বৃহস্পতিবার চার জায়গায় পৃথক বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ১১ জন নিহত হন। গত বুধবার রাজধানী কাবুলের কাছে ‘আচমকা হামলা’ চালিয়ে নেরখ জেলাটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় এই তালেবান। এক সপ্তাহের মধ্যে এটি দ্বিতীয় শহর, যা তালেবান দখলে নিল। ৫ মে জঙ্গিগোষ্ঠীটি দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ বাঘলানের বোরকা জেলার নিয়ন্ত্রণ নেয়।

কাবুল পুলিশের একজন মুখপাত্র এএফপিকে বলেন, মসজিদের ইমামসহ নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ১২ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ১৫ জন। তবে এখন পর্যন্ত কেউ হামলার দায় স্বীকার করেনি।

তালেবানের একসময়কার শক্ত ঘাঁটি কান্দাহারের দক্ষিণাঞ্চল থেকে যুক্তরাষ্ট্র বড় ধরনের বিমান ঘাঁটি থেকে নিজেদের পুরোপুরি সরিয়ে নিয়েছে—শুক্রবার আফগান কর্মকর্তারা এ তথ্য জানানোর পরই এ হামলার ঘটনা ঘটে। গত সপ্তাহে তালেবানের বড় ধরনের এক আক্রমণের জবাবে এই ঘাঁটি থেকে বিমান হামলা চালিয়ে মার্কিন বাহিনী আফগান বাহিনীকে সহায়তা করেছিল।

কান্দাহারে তালেবানের উৎপত্তি। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সেখানে পুনরায় সক্রিয় হওয়া জঙ্গি ও আফগান বাহিনীর সঙ্গে তালেবানের তীব্র সংঘর্ষ চলছে। কান্দাহারে আফগান সেনাদের মুখপাত্র খোজা ইয়া আলাউই বলেন, ‘তারা (মার্কিন বাহিনী) আনুষ্ঠানিকভাবে বিমান ঘাঁটিটি আমাদের কাছে হস্তান্তর করেনি। কিন্তু আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, গত বুধবার তারা ঘাঁটি ছেড়েছে।’

অন্যদিকে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাবাহিনীর মুখপাত্র সনি লেগেত বলেন, ‘কান্দাহারে বিমানঘাঁটিটি হস্তান্তরের প্রক্রিয়াটি জ্যেষ্ঠ আফগান নেতাদের পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে।’

কান্দাহার বিমানঘাঁটির একজন আফগান সেনা কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে এএফপিকে বলেন, ‘এখন আমাদের পক্ষে অভিযান চালানো কঠিন হয়ে পড়বে। আমাদের উড়োজাহাজগুলো রাতে উড়তে পারে না, তাই রাতে অভিযান চালানো আমাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে।’

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘোষণা অনুযায়ী আফগানিস্তান থেকে মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনী প্রত্যাহারের প্রস্তুতি শুরুর পর থেকে দেশটিতে সহিংসতার ঘটনা বেড়েছে।