এশিয়ার ‘মাদকসম্রাট’ সে চি লপ গ্রেপ্তার

সে চি লপ
ছবি: রয়টার্স

এশিয়ার ‘মাদকসম্রাট’ নামে পরিচিত চীনা বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক সে চি লপকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার জারি করা এক গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ভিত্তিতে বিশ্বের বৃহত্তম মাদক ব্যবসায়ী গোষ্ঠীগুলোর একটির এ প্রধানকে গ্রেপ্তার করে নেদারল্যান্ডসের পুলিশ। খবর বিবিসির।

গ্রেপ্তারকৃত লপ দ্য কোম্পানি নামের একটি মাদক গোষ্ঠীর প্রধান বলে জানা যায়। এশিয়াজুড়ে সাত হাজার কোটি (৭০ বিলিয়ন) মার্কিন ডলারের অবৈধ মাদক বাজার নিয়ন্ত্রণ করে থাকে গোষ্ঠীটি।

বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ পলাতক আসামিদের তালিকার অন্যতম ব্যক্তি ছিলেন লপ। আমস্টারডামের শিফল বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। অস্ট্রেলিয়া বিচারের জন্য তাঁকে তাদের হাতে তুলে  দেওয়ার আহ্বান জানাবে।

যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৯০–এর দশকে লপকে মাদক চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে নয় বছর জেলে কাটান তিনি। অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমগুলোর কথায়, লপ গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়টি দেশটির কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনীর জন্য গত দুই দশকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।

অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পুলিশের ধারণা, স্যাম গর সিন্ডিকেট নামে পরিচিত মাদক গোষ্ঠী দ্য কোম্পানির মাধ্যমে দেশটিতে ৭০ শতাংশ অবৈধ মাদক ঢুকছে। ৫৬ বছর বয়সী লপকে মেক্সিকোর মাদকসম্রাট এল চাপোর সঙ্গে তুলনা করা হয়।

অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ এক দশকের বেশি সময় ধরে লপের অবস্থান চিহ্নিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল বলে জানা যায়। শেষমেশ গত শুক্রবার আমস্টারডাম বিমানবন্দর থেকে কানাডা যাওয়ার পথে ধরা পড়েন তিনি।

পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, লপের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। পরে তাঁকে ধরতে ইন্টারপোল নোটিশ জারি করে। নেদারল্যান্ডস পুলিশের মুখপাত্র বলেন, ‘লপ পুলিশের শীর্ষ তালিকাভুক্ত আসামি ছিলেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁকে।’

লপকে নিয়ে ২০১৯ সালে রয়টার্স একটি বিশেষ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করে। সেখানে তাঁকে এশিয়ার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড ম্যান’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। জাতিসংঘের হিসাব উল্লেখ করে বলা হয়, ২০১৮ সালে শুধু মেথামফেটামিন বিক্রি করে তাঁর সিন্ডিকেট আয় করেছে ১ হাজার ৭০০ কোটি (১৭ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার।

রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, লপকে গ্রেপ্তারে পরিচালিত অভিযান ‘অপারেশন কুনগুর’-এ বিভিন্ন মহাদেশের প্রায় ২০টি সংস্থা অংশগ্রহণ করে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় তিনি ম্যাকাও, হংকং ও তাইওয়ানে অবস্থান করছিলেন বলে শোনা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৯০–এর দশকে লপকে মাদক চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে নয় বছর জেলে কাটান তিনি। অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমগুলোর কথায়, লপ গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়টি দেশটির কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনীর জন্য গত দুই দশকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।