করোনার প্রকোপ বাড়ায় জাপানে জরুরি অবস্থা জারির চিন্তা

টোকিওতে মাস্ক পরে বছর শেষে কেনাকাটায় ব্যস্ত মানুষ। বিপণিবিতানের আয়নায় ফুটে উঠেছে সেই দৃশ্যরয়টার্সের ফাইল ছবি

রাজধানী টোকিও ও এর আশপাশের তিনটি এলাকায় এ সপ্তাহে জরুরি অবস্থা জারির কথা ভাবছে জাপান। আজ সোমবার ফুজি টিভির খবরে এ কথা জানানো হয়। দেশটিতে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ আবার ঊর্ধ্বমুখী হওয়া ও হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় এমন পদক্ষেপে নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে কর্তৃপক্ষ। খবর রয়টার্সের।

জাপানে বিদায় নেওয়া বছরের শেষ দিন গত ৩১ ডিসেম্বর এক দিনে রেকর্ড ৪ হাজার ৫২০ জনের করোনা শনাক্ত হয়। পরে রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি স্থানীয় কর্তৃপক্ষ আহ্বান জানায়।

তবে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতির কথা বিবেচনা করে এ আহ্বানে এখন পর্যন্ত সাড়া দেননি প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদা সুগা। তবে এ নিয়ে তিনি এক সংবাদ সম্মেলন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। করোনার নতুন ধাক্কা সামলাতে এরই মধ্যে অন্তর্বর্তী পদক্ষেপ হিসেবে রাত আটটা থেকে রেস্তোরাঁ ও কারাওকে পারলারগুলো এবং সন্ধ্যা সাতটা থেকে পানশালা বন্ধ রাখতে বলেছে সরকার।

করোনার প্রথম ঢেউ চলাকালে বিভিন্ন দেশে কঠোর লকডাউনের পদক্ষেপ নিতে দেখা গেলেও জাপান ভিন্ন পন্থা গ্রহণ করে। দেশটি স্বেচ্ছায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা ও ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার মতো পদক্ষেপের ওপর নির্ভর করে।

স্থানীয় সরকারের ওই আহ্বানে সাড়া দেওয়া হলে তা হবে করোনা মহামারিতে জাপানে দ্বিতীয়বারের মতো জরুরি অবস্থা জারির কোনো ঘটনা।

জাপানে প্রথম দফায় জারি করা জরুরি অবস্থা এক মাসের বেশি কার্যকর ছিল। সে সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অপরিহার্য নয়—এমন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখার অনুরোধ জানানো হয়।

করোনার প্রথম ঢেউ চলাকালে বিভিন্ন দেশে কঠোর লকডাউনের পদক্ষেপ নিতে দেখা গেলেও জাপান ভিন্ন পন্থা গ্রহণ করে। দেশটি স্বেচ্ছায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা ও ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার মতো পদক্ষেপের ওপর নির্ভর করে।

ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন দেশের তুলনায় জাপানে এখনো করোনায় সংক্রমণ কম রয়েছে। ২০২০ সালে দেশটিতে অলিম্পিকের আসর বসার কথা থাকলেও তা করোনায় স্থগিত হয়ে গেছে। এ বছরের গ্রীষ্মেও এটি করা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে আছেন প্রধানমন্ত্রী।