করোনা রোধে ব্যতিক্রমী ঐতিহাসিক পরীক্ষায় চীন পাস: সি চিন পিং

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং চিকিৎসকদের পুরস্কার দেন।
ছবি: এএফপি

করোনার সংক্রমণ রোধে ব্যতিক্রমী ঐতিহাসিক পরীক্ষায় পাস করেছে চীন। দেশটির প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং আজ মঙ্গলবার চিকিৎসাসেবার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা চিকিৎসকদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। ওই অনুষ্ঠানে চারজন চিকিৎসককে ‘দ্য পিপল হিরো’ খেতাব দেওয়া হয়।

ওই চারজন চিকিৎসককে সোনার পদক দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে সবাই মাস্ক পরে ছিলেন। সবাই বড় বড় লাল ফুলের পিন পরে ছিলেন। সি চিন পিং করোনার বিরুদ্ধে নায়কের মতো লড়াই করার জন্য সবার প্রশংসা করেন।

করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশের অন্যতম স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ৮৩ বছরের ঝং নানসানকে পদক দেওয়া হয়। সি তাঁকে চীনের শীর্ষ সরকারি পদক দিয়ে পুরস্কৃত করেন। ঝং বলেন, ভাইরাসের বিরুদ্ধে সারা বিশ্বের স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে একসঙ্গে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।

চিন পিং বলেন, ‘করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা প্রাথমিক সাফল্য অর্জন করেছি।’

গ্রেট হলে অনুষ্ঠিত আজকের ওই বিলাসবহুল অনুষ্ঠানে করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

গত বছর চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এর উৎস এখনো অজানা।

‘দ্য পিপলস হিরো’ খেতাব দেওয়া হয় আরও তিনজনকে। তাঁদের মধ্যে একজন হলেন ৭২ বছরের বায়োকেমিক্যাল বিশেষজ্ঞ চেন ওয়ে। তিনি উহানের একটি হাসপাতালের প্রধান।

অনুষ্ঠানে অনেকের চোখে জল দেখা যায়।

‘করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা প্রাথমিক সাফল্য অর্জন করেছি।’
সি চিন পিং

ওই অনুষ্ঠানে করোনাভাইরাস নিয়ে প্রথম সতর্ক করেছিলেন যে চিকিৎসক, সেই লি ওয়েনলিয়াংয়ের বিষয়ে কোনো আলোচনা করা হয়নি।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চীনে করোনায় সংক্রমিত হয়ে ৪ হাজার ৬৩৪ জন মারা গেছে।