কিম জং-উন কোথায়, দেখা নেই কেন: পম্পেও

মাইক পম্পেও। ছবি: রয়টার্স
মাইক পম্পেও। ছবি: রয়টার্স

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলছেন, মার্কিন কর্মকর্তারা সাম্প্রতিক সময়ে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উনকে দেখেনি। তাঁরা কিম জং–উনের স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রতিবেদনগুলো খুব গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। তাঁর দেখা না পাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।


উত্তর কোরিয়ার অবস্থান নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পম্পেও। তিনি মনে করছেন, করোনাভাইরাস বা দুর্ভিক্ষে বিচ্ছিন্ন এই রাজ্যটির ক্ষতি হতে পারে।


কিমের শারীরিক অবস্থা নিয়ে সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের বিষয়ে গতকাল বুধবার মার্কিন গণমাধ্যম ফক্স নিউজ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা তাঁকে দেখিনি। তবে আমাদের কাছে রিপোর্ট করার মতো কোনো তথ্যও নেই। আমরা বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।’ তিনি বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার অভ্যন্তরে দুর্ভিক্ষ, খাদ্যের ঘাটতির প্রকৃত ঝুঁকি রয়েছে।’


পম্পেও বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার প্রতিটি বিষয় আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। কারণ, উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে আমাদের যে লক্ষ্য, এতে দেশটির প্রকৃত প্রভাব রয়েছে।’


এর আগে গত সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, কিম জং–উন কোথায়, কী অবস্থায় আছেন, তা তিনি ভালো করেই জানেন। তবে এ বিষয়ে তিনি কথা বলবেন না। তিনি কেবল তাঁর সুস্থতা আশা করেন। ট্রাম্প বলেন, ‘কিম জং–উন কীভাবে আছেন, অদূর ভবিষ্যতে সাংবাদিকেরাও তা ভালোভাবে জানতে পারবেন।’

১২ এপ্রিল রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে সর্বশেষ দেখা যায় উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উনকে। তিনি গুরুতর অসুস্থ বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে জল্পনা আলোচনা চলছে। কোনো কোনো প্রতিবেদনে তাঁর মৃত্যুর আশঙ্কাও করা হয়েছে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি কর্মকর্তারা বারবারই বলছেন, কিম বেঁচে আছেন, ভালো আছেন। তাঁরা এমনটাও মনে করছেন, উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা করোনাভাইরাসকে সম্ভাব্য প্রাদুর্ভাব থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ওনসানের সমুদ্র রিসোর্টে অবস্থান করছেন।


মহামারি ঠেকানোর জন্য জানুয়ারির শুরু থেকেই সীমান্ত বন্ধ করে দেয় উত্তর কোরিয়া।


১৯৯০ সালের দিকে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেথা দেয় উত্তর কোরিয়ায়। ওই দুর্ভিক্ষে দেশটির কয়েক লাখ মানুষ মারা যায়।
১৫ এপ্রিল কিমের স্বাস্থ্য নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। ওই দিন ছিল কিমের দাদা উত্তর কোরিয়ার জাতির জনকের জন্মদিন। এ উপলক্ষ্য ওই দিন আয়োজিত অনুপস্থিত ছিলেন কিম। এটি অনেক বড় বিষয়। কিম কখনো এ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকেননি। তার এই অনুপস্থিতির কারণেই তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে সন্দেহ ও সংশয় তৈরি হয়।