কিমের বোনের ধমকে চুপসে গেলেন মুন

মুন জে-ইন ও  কিম ইয়ো-জং
মুন জে-ইন ও কিম ইয়ো-জং

কিছুদিন শান্ত থাকলেও আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পর্ক। সীমান্তের ওপার থেকে উত্তর কোরিয়াবিরোধী লিফলেট, বেলুনবার্তা পাঠানো বন্ধ না হলে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা সামরিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের বোন কিম ইয়ো-জং। গত শনিবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএতে বিবৃতি পাঠিয়ে এই হুমকি দেন তিনি। এই হুঁশিয়ারিতে চুপসে গেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন। উত্তেজনা বাড়ানো থেকে বিরত থেকে আলোচনায় ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। 

কোরীয় উপদ্বীপে নিরাপত্তা নিয়ে গতকাল সোমবার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুন। ২০১৮ সালে কিম-মুন সম্মেলনের প্রতিশ্রুতির উদাহরণ টেনে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন বলেন, ‘কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য চেয়ারম্যান কিম জং-উন আমাদের ৮ কোটি মানুষের কাছে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা আমরা ভঙ্গ করতে পারি না।’ তিনি আরও বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা, উত্তেজনা বাড়ানো উচিত হয়নি। আসুন অতীতের বিবাদ পেছনে ফেলে আমরা আলোচনায় বসি। আমি আশা করি, যোগাযোগ ও সহযোগিতার মাধ্যমে সব জটিল সমস্যার সমাধান করা যাবে।’

গত সপ্তাহে দুই দেশের নেতাদের যোগাযোগের হটলাইন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় উত্তর কোরিয়া। এরপর দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে শনিবার বিবৃতি দেন কিমের বোন ইয়ো-জং। সরকারিভাবে না হলেও বর্তমানে কিম জং-উনের অন্যতম শীর্ষ সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন ইয়ো-জং।

বিবৃতিতে কিমের বোন দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে বলে শাসিয়েছেন। ইয়ো-জং বলেন, ‘সর্বোচ্চ নেতা, আমার দল ও রাষ্ট্রের দেওয়া ক্ষমতাবলে… আমি শত্রু মোকাবিলার দায়িত্বে থাকা বিভাগকে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।’ তবে এই ব্যবস্থা কী হতে পারে, বিবৃতিতে তা বলা হয়নি। 

উত্তর কোরিয়ার পক্ষ ত্যাগ করে অনেকেই পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ায়। সীমান্তের ওপার থেকে তাঁদের উত্তর কোরিয়াবিরোধী লিফলেট ও বার্তা পাঠানো নিয়েই দুই পক্ষে এই বিরোধ। পলাতকদের এমন কর্মকাণ্ডে বাধা দিতে না পারলে দক্ষিণ কোরিয়াকে ‘কঠিন মূল্য দিতে হবে’ বলে হুমকি দিয়েছিলেন কিমের বোন কিম ইয়ো-জং।