কী থাকছে উত্তর কোরিয়ার সামরিক কুচকাওয়াজে

রয়টার্স ফাইল ছবি

বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজের প্রস্তুতি নিচ্ছে উত্তর কোরিয়া। কয়েক মাস ধরে কয়েক হাজার সেনা চর্চা চালিয়ে যাচ্ছেন।

বিবিসির আজ শুক্রবারের খবরে জানা যায়, এই কুচকাওয়াজে নিজেদের শক্তির মহড়াও দেখাতে চায় উত্তর কোরিয়া। অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও উত্তর কোরিয়া নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ও অস্ত্রভাণ্ডারের মহড়া করবে। ২০১৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের মধ্যে প্রথম সম্মেলন হয়। এরপর থেকেই কুচকাওয়াজে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করেনি উত্তর কোরিয়া।

হ্যানয়তে গত ফেব্রুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে আলোচনা ভেস্তে যায়। এরপর থেকেই উত্তর কোরিয়া বেশ কিছু স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে উত্তর কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টির ৭৫তম বার্ষিকীর কুচকাওয়াজ আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। যুক্তরাষ্ট্রকে আঘাত করতে সক্ষম এমন অস্ত্রের মহড়া উত্তর কোরিয়া করবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার অর্থায়নে সিউলভিত্তিক ওয়েবসাইট ডেইলি এনকের এডিটর ইন চিফ লি সাং ইয়োং বলেন, পিয়ংইয়ং ৩২ হাজার সেনাকে জড়ো করতে নির্দেশ দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘পিয়ংইয়ংয়ের মিরিম বিমানবন্দরে নতুন দুটি রাস্তা ও ১০টি ভবন রয়েছে। আমি মনে করি কুচকাওয়াজে তাদের আন্ত:মহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র অথবা সাবমেরিন ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মহড়া দেখতে পাব।’

মহড়ায় কিম ইল সাং বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০০ শিক্ষার্থী ও গবেষক অংশ নেবেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নের কাজে শিক্ষার্থীরা নিয়োজিত থাকেন।
এনকে নিউজের বিশ্লেষক জিনোগমিন কিম বলেন, উত্তর কোরিয়া সবসময় বর্হিবিশ্বকে দেখাতে এসব অস্ত্রের মহড়া করে না। দেশের জনগণকে চাপে রাখতেও দেশটি এমন করে থাকে।

উত্তর কোরিয়া তাদের দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নেই বলে দাবি করেছে। দেশটির নেতা কিম জং উন কঠোর বিধিনিষেধ বজায় রাখতে উচ্চপর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে একের পর এক বৈঠক করছেন। উত্তর কোরিয়া এখন অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বর্হিবিশ্ব থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে।