কুয়েতের বিশিষ্ট কবি আল–সায়ের গ্রেপ্তার

কুয়েতের বিশিষ্ট কবি ও রাজনৈতিক কর্মী জামাল আল–সায়ের
ছবি : রয়টার্স

সরকারের সমালোচনা করে টুইট করায় কুয়েতের বিশিষ্ট কবি ও রাজনৈতিক কর্মী জামাল আল–সায়েরকে গ্রেপ্তার করেছে কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ করা হয়। সম্প্রতি উপসাগরীয় দেশটিতে সরকার ও বিরোধীপক্ষের মধ্যে উত্তেজনায় রাজনৈতিক সংকট দানা বেঁধে উঠেছে।

জামাল আল–সায়ের কুয়েতে ব্যবসায়ী হিসেবেও পরিচিত। তাঁর ভাইপো ও আইনজীবী মুহানান্দ আল–সায়ের বলেছেন, জামাল আল–সায়েরের বিরুদ্ধে কুয়েতের আমিরকে অপমান; ভুয়া খবর ছড়ানো, যাতে রাষ্ট্রের সম্মান ক্ষুণ্ন হতে পারে এবং মুঠোফোনের অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মুহানান্দ আরও বলেন, গত সোমবার রাস্তায় তিনটি পুলিশের গাড়ি জামাল আল–সায়েরের পথ আটকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

এ বিষয়ে কুয়েতের সরকার ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
দেশটির সরকার ও পার্লামেন্টে নিয়মিত বিরোধে মন্ত্রিপরিষদের রদবদল ঘটেছে এবং পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করার ফলে বিনিয়োগ ও পুনর্গঠনের বিষয়টি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন বিষয়ে এখনো দেশটির আমির শেখ নাওয়াফ আল-আহমেদ আল-সাবাহর কথাই চূড়ান্ত। কিন্তু কুয়েতই একমাত্র দেশ, যেখানে নির্বাচিত পার্লামেন্টকে আইন ও মন্ত্রীদের বিষয়ে ভোট দেওয়ার ব্যাপক ক্ষমতা দিয়েছে।

পার্লামেন্ট থেকে দেশটির প্রধামন্ত্রী রাজপরিবারের সদস্য শেখ সাবাহ আল-খালিদ আল-সাবাহর বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ নানা বিষয়ে প্রশ্ন করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তাতে সফলতা আসেনি।

গত ২৮ জুন জামাল আল-সায়ের কুয়েতের আমির ও যুবরাজ বরাবর টুইট করে বলেন, ‘পরিস্থিতি অসহনীয় হয়ে উঠেছে। আপনারাই পার্লামেন্ট ও জনগণের ইচ্ছাকে অবমাননা করে সরকারকে সংবিধান লঙ্ঘন ও বাধাগ্রস্ত করার সুযোগ দিয়েছেন।’
জামাল আল–সায়েরকে গ্রেপ্তারের ঘটনাটি দেশটির সংসদ সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

দেশটির বিরোধীদলীয় আইনপ্রণেতা আবদুল আজিচ আল-সাকাবি বলেন, ‘সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়, এমন কোনো পুলিশি রাজ্যে পরিণত হব না আমরা। স্বাধীনতা খর্ব, গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের বিরুদ্ধে গিয়ে মাফিয়া ও গ্যাং স্টাইল অনুসরণের বিষয়টিও আমরা গ্রহণ করব না।’